শীতের শুরুতে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন ও বাতাসের শুষ্কতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে সর্দি-জ্বর দেখা দেয়। এর প্রধান কারণগুলো হলো-


ভাইরাল সংক্রমণ: সাধারণ সর্দি-জ্বরের জন্য রাইনোভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বেশি দায়ী।


ঠান্ডা পরিবেশে থাকা: হঠাৎ ঠান্ডা পরিবেশে বেশি সময় কাটালে সর্দি-জ্বর হতে পারে।


শুষ্ক আবহাওয়া: শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকায় নাক ও গলার মিউকাস মেমব্রেন শুষ্ক হয়ে যায়, যা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।


ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব বা মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে।


ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ: শীতকালে ঘরের ভিতরে বেশি সময় কাটানোর কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।


প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়-


প্রতিকার:


গরম পানি পান করুন: ঠান্ডা কমাতে এবং গলার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।


ভাপ নেওয়া (Steam Therapy): নাক বন্ধ বা গলার সংক্রমণ কমাতে কার্যকর।


গোলমরিচ ও মধু মিশ্রিত চা: এটি সর্দি কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


বেশি বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।


গর্গল করুন: কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গর্গল করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।


প্রতিরোধ:


সুষম খাদ্য গ্রহণ: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (কমলা, লেবু) খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।


উষ্ণ পোশাক পরিধান করুন: ঠান্ডা থেকে বাঁচতে সঠিক পোশাক পরা জরুরি।


পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: নিয়মিত হাত ধোয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।


পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শীতকালেও শরীর হাইড্রেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।


ভ্যাকসিন নিন: ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি এড়াতে ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে পারেন।


যদি সর্দি-জ্বর ৫-৭ দিনের বেশি সময় ধরে থাকে বা জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


 মো.আজিজুলহক আজিজ,কুতুবদিয়া।

জেনারেল ফিজিশিয়ান,ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল সাইন্স(DMS)

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024