গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ জুড়ে চলছে নানা হামলা ও নৈরাজ্য। তারমধ্য হিন্দুসম্প্রদায় ও সংখালঘু জাতি গোষ্ঠীদের ঘরবাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট হতে শুরু করে নানা হামলা ও দেশ ত্যাগে হুমকি দিয়ে আসছে দুবৃর্ত্তরা। 


তারিধারাবাহিকতায়, গত ২১ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে সাংবাদিক বিপুল দেব রায়ের মালিকানাধীন চট্টমেট্টো ছ -১১- ২২৪৭ গাড়িটিতে হামলা ও ভাঙ্গচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জোড়ামতল এলাকায় আকাশ দাসের গ্যারেজে এ ঘটনাটি ঘটে। 


বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক বিপুল, দীর্ঘদিন যাবৎ দৈনিক আজাদী, বৈশাখী টেলিভিশন, এশিয়ান টিভি, এসএটিভি,আরটিভি সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়াতে সাংবাদিকতা করে আসছেন। সেই সাথে তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগ পর্যন্ত শুরু করে এখনো অবদি তিনি গণমাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। 


গণমাধ্যমে কাজ করার সময় তিনি, সমাজের নানা অসংঙ্গতি ও রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী বিট ও আওয়ামী লীগ বিটে কাজ করতেন। এসময় দেশের সমসাময়িক নানা রাজনৈতিক বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লিখেছেন ও পরিবেশন করেছেন । কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ জুড়ে চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা নির্যাতন ও স্বাধীন মত প্রকাশে বাঁধা। এসময়, বিভিন্ন ঘোষ্ঠী, যারা নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে, তাদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বিপুল দেব রায়ের উপর আসতে থাকে নানা চাপ ও হুমকি। 


অনুসন্ধানে জানা আরও জানা যায়, সাংবাদিক বিপুল দেব রায় একদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক অন্যদিকে তিনি পলিটিক্যাল বিটের সাংবাদিক। তাই তাকে সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিতে ও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য কবলামূলে কিনা তাঁর মালিকানাধীন চট্ট মেট্রো ছ - ১১-২২৪৭ নাম্বারের গাড়িটি ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে দুর্বৃত্তরা। 


এই বিষয় গ্যারেজ মালিক আকাশ দাস জানান, ২১ অক্টোবর সোমবার দিনের বেলায় সাংবাদিক বিপুলের মালিকানাধীন চট্ট মেট্রো ছ - ১১-২২৪৭ নাম্বারের গাড়িটি গ্যারেজে রাখা হয় কাজ করার জন্য। প্রতিদিন রাতে গ্যারেজে ১০ থেকে ১২ টি দামি গাড়ি থাকে। কোনদিন কোন কিছু হয় না। সাংবাদিকের গাড়ির সাথে ওই দিন অন্যগাড়িগুলো ছিল রাতের বেলা। কিন্তু দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা শুধু সাংবাদিকের গাড়িটি ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। অন্য কোন গাড়ি তারা ভাঙ্গচুর করেনি। এতে বোঝা যায় যে, একদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ও অন্যদিকে সাংবাদিক হওয়ায় এমন হামলা হলো। 


এই বিষয়ে, সাংবাদিক বিপুল দেব রায় জানান, নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এ ব্যাপারে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। 


বিশিষ্টজনরা বলছেন, একদিকে সাংবাদিক অন্যদিকে হিন্দুধর্মালম্বী হওয়ায় এমন হামলা ও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিবেশে সতর্ক না থাকলে যে কোন সময় তাঁর উপর প্রাণ নাশেরর মত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024