দেশের বিভিন্ন উপজেলায়  ড্রাগন চাষ হলেও কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় শখের বসে প্রথমবারের মতো ড্রাগন  চাষেই বেশ সাড়া ফেলেছেন  আনছার। তার সফলতা দেখে অনেকেই এই  চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন চাষে সফল তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আনসারুল করিম। এই ফলে  রয়েছে ঔষধিগুণ। এছাড়াও বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় তিনি  এ চাষে আগ্রহী হন।

আনছারুল করিম  উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়ের উ:লেমশীখালী আনুমিয়াজির পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।পেশায় তিনি একজন মাদরাসা শিক্ষক,শিক্ষাকতার পাশাপাশি শখের বসে স্বপ্ন বুনেন ড্রাগন চাষে।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আনসার বলেন,২০২২সালে পরিক্ষামূলক  ১৮ টা চারা লাগিয়ে সফলতা পেয়েছি। এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষ করার জন্য কাজ করতেছি, ৬ শতক জমিতে  ২০০/৩০০ চারা লাগিয়েছি।  নতুন এই চাষ পদ্ধতিতে  সরকারী সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা করব।

তিনি আরোও বলেন,বিভিন্ন মাধ্যমে এই ফলের  চাষ সম্পর্কে জেনে তারপর এই  চাষ করার পরিকল্পনা করি, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করি। অতপর এর চাষ শুরু করি।চারা রোপনের ৭/৮মাসের মধ্যে ফল আসে, আমাদের এলাকায় এই ফলের চাষ পরিচিতি কম হওয়ায় অনেকেই কৌতুহল নিয়ে দেখতে আসেন। অনেকে আমার কাছ থেকে চারা কিনে নিতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন জাতের ড্রাগন ফলের চাষ করতেছি।যেমন,তাইরেড,অরেঞ্জকিনা,কুলেরা,এই সবগুলো জাতের মধ্যে কোনোটি বেশি গোলাপী, সাদা,আবার কোনোটি লালচে রঙের। এর চাষ পদ্ধতি সাধারনত একটু ব্যাতিক্রম । এলাকায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভালোভাবে পরিচর্যা করলেই বেশি ফলন ও লাভবান হওয়া সম্ভব।

ড্রাগন ফল  পাঁকার আগে সবুজ থাকে। যখন পাকতে শুরু করে তখন ধীরে ধীরে লাল হয়ে যায়। এর ফলে প্রচুর পরিমানে অ্যা’ন্টি অ’ক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রো’গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর এতে থাকা ফাইবার হা’র্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ডায়া’বেটিসসহ আরো বেশ কয়েকটি রোগের প্রতিরোধে কাজ করে। তাই এই চাষ খুব দামি ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

এটি একটি উচ্চ মূল্যের ফলের জাত। এই উপজেলায় আনসার প্রথম চাষ করেছেন। এতে অধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে।এই ফলের দামও বেশি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024