|
Date: 2024-11-26 11:30:26 |
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের রনচন্ডি বসুনিয়া পাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা এখন সকলের কাছেই সুপরিচিত। উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের রনচন্ডি বসুনিয়া পাড়া গ্রামে মাদ্রাসাটির অবস্থান। প্রতিবছরই ভালো ফলাফলের জন্য উপজেলা জুড়ে সুনাম আর সুখ্যাতি। মাদ্রাসাটিতে যেতে চোখে পড়ে গ্রামীণ আঁকাবাঁকা অনুন্নত মেঠোপথ। মাঠের পর মাঠ। সড়কের দুই পাশে ধান ক্ষেত আর সবুজ পৃথিবী। সড়কের দু’পাশই ছায়াবৃক্ষের রাজত্ব। রনচন্ডি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষিজীবী খেটে খাওয়া মানুষ প্রতিদিনই জীবন যুদ্ধে লড়ে। কৃষকরা মাঠে মাটির সঙ্গে লড়ে সোনা ফলায়। তাদের শ্রমে-ঘামে চলে জীবন সংসার। এক সময়ে অভাব-অনটন আর টানাপোড়া ছিল তাদের প্রতিদিনের জীবনসঙ্গী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তাদের আশপাশ। পরিবর্তন আসছে সর্বত্রই। কৃষি ও শ্রমজীবী গ্রামীণ ওই জনপদের মানুষগুলো তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আর জীবন- জীবিকা নিয়ে ভাবে। এই ভাবনার শেষ নেই। বর্তমান সময়ে সব কিছুতে একটি পরিবর্তন এসেছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষা যেন পিছিয়ে নেই। তাই তারা তাদের সন্তানদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সময়ের সাথে তারা পড়ালেখায় উচ্চ শিক্ষা না নিলেও সন্তানদের এমন প্রয়োজনীয়তা খুব ভালো করে বুঝেন।
আর সেই কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষদের চিন্তার অবসান ঘটাতে আগ্রহী হন ওই এলাকারই সু-সন্তান, শিক্ষানুরাগী মরহুম আবু তালেব। তিনি নিজ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে গ্রামীণ জনপদের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত সন্তানদের শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিতে নিজের প্রায় ২ একর জমির উপর ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রনচন্ডি বসুনিয়া পাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা। যে মাদ্রাসায় এখন ৪৬১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯ জন রয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারী। মাদ্রাসাটির কল্যানে দক্ষ মানব সম্পদ গঠন এবং কাঙ্ক্ষিত শতভাগ শতাংশের ফলাফলে অভিভূত এই ইউনিয়নে অভিভাবক ও সচেতন সমাজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। রনচন্ডি বসুনিয়া পাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও.মোজাফফর হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল, মানসম্মত পাঠদান, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে রেখে সর্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কিন্তু অনুন্নত সড়কের কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে মাদ্রাসাটির জন্য আশপাশের জন্য ন্যূনতম কয়েক কি. মি.পাকা সড়ক পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
© Deshchitro 2024