|
Date: 2022-11-25 15:44:07 |
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হলেও স্বাস্থ্যসেবার দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা ৭০ লক্ষের বেশি, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় লোকসংখ্যা ৮০-৮৫ লক্ষের মত এবং সে হিসেবে এখানে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু হয় নাই। আমি মনেকরি যদি হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে একটি পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তার সহকর্মীসহ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিনন্দন জানান। যারা ইতোমধ্যে হার্ট ফাউন্ডেশনে অনুদান দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে চমেক হাসপাতালের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সদস্য এস এম আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় ও
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আকতার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের একটা সম্মিলন রয়েছে। আমাদের চট্টগ্রামে যারা গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা এই ফাউন্ডেশনে অনুদান ও দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছেন এবং এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটা একটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তাই এর আয় এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় হবে সেটা আমরা যেহেতু আশ্বস্ত পেরেছি আমরা মনে করি যেভাবে করে হার্ট ফাউন্ডেশন ঢাকায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হৃদরোগের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চট্টগ্রামেও হার্ট ফাউন্ডেশন এ ভূমিকা পালন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে করোনার সময় চিকিৎসার যে অব্যবস্থা দেখেছি তা দুর করতে পারি। করোনার সময় আপনারা সবাই জানেন , বহু দেশ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিতে পারেনি, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বুস্টার ডোজসহ মানুষকে বিনামূল্য তা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনগুলো সংগ্রহ করতে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে যা পদ্মা সেতুর নিমার্ণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে।
© Deshchitro 2024