◾ইমন হাওলাদার : বাংলাদেশের সরকারের মেয়াদ ৫ বছর এ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। ৫ বছর পর পুনরায় নির্বাচন এর ব্যবস্থা করে থাকেন নির্বাচন কমিশন। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে জনগণের জনপ্রিয়তা হারায় পূর্বের সরকার। জনগণের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে নতুন সরকার এর আগমন ঘটে।
পূর্ববর্তী সরকার দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে থাকেন। সকল কাজ ৫ বছরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার দেখা যায় নির্বাচন আশার অন্তিম লগ্নে সরকারি মহল উন্নয়নমুলক কাজ করতে তৎপর হয়ে ওঠে যাতে করে জনগণের সমর্থন লাভ করা যায়। পরবর্তী মেয়াদে সরকারি পথ ধরে রাখার চেষ্টা। এতে করে একটি বড় ধরনের উন্নয়নমুলক কাজের অংশ রয়ে যায় অসমাপ্ত।
নতুন সরকারের আগমনে পুরনো সব কর্মপরিকল্পনা ও চলমান কাজ বন্ধ করে দিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহন ও তা বাস্তবায়নে কাজ করে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে কালো ছায়া ভর করে। দেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে নিপতিত হয়। কারন দেখা যায় পূর্বের সরকারের পরিচালিত উন্নয়নমুলক অবকাঠামোর চার ভাগের তিন ভাগ সম্পূর্ণ হয়েছিল। যেখানে ব্যয় করা হয়েছে হাজার কোটি টাকা। আর এক ভাগ কাজ সম্পূর্ণ হলেই অবকাঠামোটি ব্যবহার করে উঠিয়ে আনা যেত খরচ কৃত অর্থের বড় একটা অংশ। এখন তা দেখে চোখের শান্তি দেওয়া ছাড়া কোনো কাজে আসবে না। এই অবকাঠামো করতে বিদেশ থেকে ঋণ করেছেন সরকার। যা কয়েক ধাপে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সন্ধি করেছেন। যা পরবর্তী সরকারকে বহন করতে হয়। পরবর্তী সরকার টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন সেক্টরের কর বৃদ্ধি করে।
মানুষের বেতন বৃদ্ধি না পেলেও,করের হার বৃদ্ধি পাওয়াতে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতে হয় অনেক পরিবারকে। এই ধরনের কাজ কখনোই একটা উন্নয়নশীল দেশের জন্য কাম্য নয়। সরকারি মহলের উচিত দল-বেদল বাদ দিয়ে দেশের সাধারন জনগনের কল্যানে কাজ করা। প্রতিহিংসার বাতাস মানব হৃদয়ে পৌছে না দিয়ে। ধৈর্য্য ও ক্ষমার স্নিগ্ধ বাতাস পৌছে দেওয়া মানুষের অন্তরে।
•••
» ইমন হাওলাদার
লেখক ও সংগঠক