ঝিনাইদহে আব্দুল জব্বার (৫০) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে তার দুই স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের কলাবাগান এলাকার একটি বাসা থেকে আব্দুল জব্বারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল জব্বার জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাখা কর্মকর্তা পদে কর্মরত ছিলেন। আটক দুই স্ত্রী হলেন- নিহত ওই কর্মকর্তার বড় স্ত্রী রাবেয়া খাতুন মিষ্টি ও ছোট স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার সাথী। জব্বারের বড় বোন শাহানা খাতুন জানান, তার ভাইয়ের দুই স্ত্রীর সঙ্গে তার বেশ কয়েক দিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর আগে তার ভাইকে গায়ে হাত তুলে মারধরও করেছেন বড় স্ত্রী রাবেয়া খাতুন মিষ্টি। সম্প্রতি জব্বারের বোন ও মা তার বাড়ি থেকে চলে যান নিজ বাড়িতে। সে সুযোগে বড় স্ত্রী মিষ্টি সোমবার দুপুরের দিকে বাড়িতে এসে তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। হত্যার সময় তার ভাইয়ের ছোট স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার সাথী এবং প্রতিবেশীরা ঘটনাটি দেখেছেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা জব্বারকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভগ্নীপতি মোহাম্মদ হুসাইন বলেন, সকালে সাথী ভাবি মোবাইলে জানান ভাইকে ব্যাপক মারপিট করেছেন মিষ্টিসহ তার লোকজন। তার বিশেষ অঙ্গে লাথি মারার কথাও জানান ভাবি। ধারণা করছি, বিশেষ অঙ্গে আঘাতের কারণে ভাইয়ার মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জব্বার নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ তার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। তবে দুই স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে ।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024