“অবিশ্বাস্য হলেও সত্য” সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় পারুলিয়া ইউনিয়নে বৈয়শা গ্রামে চিংড়ি চাষের পাশাপাশি ঘেরের ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে কৃষক গোলাম রব্বানী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কৃষক গোলাম রব্বানী (আর্লি ড্রাগন) তরমুজ চাষের সাথে যুক্ত রয়েছে।


এই চাষ করতে যেমন বাড়তি কোন জমি লাগছে না, লাগছে না কোন জমির হারি, তাই উপজেলার কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি প্রতিবছর অসময়ের তরমুজ চাষ করে থাকি, আমি গত ৫ বছর ধরে তরমুজ চাষের সাথে যুক্ত আছি, গত বছরের তুলনায় এই বছর তরমুজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে, বর্তমান ৫০০ শত পিচ তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়েছে, প্রতিটা তরমুজ ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনে হবে।


দুই একদিনের ভিতরে যা বাজার জাত করা হবে, বাজারে চাহিদা থাকায় প্রতিকেজি তরমুজ মূল্য ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত হবে বলে আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, চাষ করে বুঝলাম এটি একটি লাভ জনক ফসল, খরচের তুলনায় ৩ ডাবল বিক্রি করা যায়। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কয়েক জন কৃষকের মাঝে, ২টি প্রকল্পে গত ৬/১১ /২৪ইং অর্থাৎ দেড় মাস পূর্বে কৃষক ও বেকার যুবকদের মাঝে বিনামূল্যে তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়।


দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী, আলাউর রহমান সিদ্দিক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কৃষকের ১ টি জাতের বীজ প্রদান করা হয় সেগুলো হলো (আর্লি ড্রাগন) বাংলালিংক। তরমুজ প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১শত ২০ গ্রাম বীজ রোপন করা যায়, এই অফ সিজন তরমুজ বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হবে। অনেক শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুকছে।


দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি সহকারী আলাউর রহমান তাকে এই অফ সিজন তরমুজ চাষে উদ্ভূত করে। তার পরামর্শে সে তার নিজস্ব ১৪ বিঘা ঘেরের ভেড়িতে অফ সিজন তরমুজের চাষ করেছে। চাষ করে এখন লাভের মুখ দেখেছে। দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই অফ সিজন তরমুজ চাষের পদ্ধতি ও বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে কৃষকদেরকে অবহিত করেছেন।


দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান বলেন, দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে, আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে এই তরমুজ চাষে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হবে।


দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, দেবহাটার ভূমি কৃষি বান্ধব, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে কৃষকেরা পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন নতুন এই ধরনের ফসল চাষের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে, আগামীতে এই এলাকার কৃষকদেরকে এই তরমুজ চাষে আরো উদ্ভূদ্ধ করা হবে। যাতে আরও বড় আকারে তরমুজ চাষ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024