|
Date: 2024-12-25 15:37:47 |
সাতক্ষীরা থেকে ভোমরা বন্দরে যাওয়ার পথে আলীপুর ঢালীপাড়া মোড়ে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনতার হাতে আটককৃত মেহেদী হাসান মুন্না গত শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আসামী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুজ্জামানসহ চারজন এখনো পালিয়ে রয়েছে। ফলে তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হওয়া টাকা। এ ঘটনায় ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকারি মেহেদী হাসান মুন্না (২৪) সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে।
ভোমরা বন্দরের “মা’ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিএম আমির হামজা তার দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টা দিকে তার কর্মচারি শওকত হোসেন ও আব্দুল্লাহকে আলীপুর ঢালীপাড়ার মোড়ে মটর সাইকেল থামিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুটি ব্যাংক খেকে তোলা ও তিনজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আদায়কৃত মোট ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ব্যাগটি দুটি মটর সাইকেলে থাকা পাঁচজন ছিনতাইকারি ছিনতাই করে।
পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরতলীর কুচপুকুরের মেহেদী হাসান মুন্নাকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় ছিনতাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যরা দুটি মটর সাইকেলে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা হলেন, থানাঘাটার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুজ্জামান, একই এলাকার আরাফাত হোসেন, আবাদেরহাটের নয়ন হোসেন ও নলকুড়ার আবু সাঈদ।
এ ঘটনার অভিযোগটি গত ২০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আটককৃত মেহেদী হাসান মুন্না বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিনের খাস কামরায় টাকা ছিনতাইয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা থানাঘাটার রফিকুজ্জামান, একই এলাকার আরাফাত হোসেন, আবাদেরহাটের নয়ন হোসেন ও নলকুড়ার আবু সাঈদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, আসামী গ্রেপ্তারে ও টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
© Deshchitro 2024