◾সজিব হোসেন || প্রভাতবেলা পাখির কুজন সোনালি রোদ্দুর, খেলার মাঠে শিশু কিশোর করছে হৈ-হুল্লোড়। কৃষক মামা ব্যস্ত মাঠে,ফলায় প্রাণের ফসল। নয়ন জুড়ানো সবুজে ঘেরা অপরূপ  প্রান্তর সোনা ফলা গ্রামখানি মোর লাগে যে মধুর! আঁকা বাঁকা  মেঠো পথ, বাহারের নেই শেষ। সহজ সরল জীবন গাঁয়ের, দিন কেটে যায় বেশ। ঋতুচক্রের আবর্তনে নানান বৈচিত্র্যের সুর। কাঁচা বাজার,সতেজ সবজি হাঁটেতে ভরপুর। ছায়া সুনিবিড় গাঁ খানি মোর গুণের অন্ত নাই, মাতৃ ছায়ায় এইখানেতে স্বর্গ সুখ পাই।   এই গাঁয়েরই চরণ চুমে বইছে ছোট নদী এঁকেবেঁকে ক্ষীর নদী, চলছে নিরবধি। এখনো কান পেতে শুনি, তার কুলকুল ধ্বনি। মন মাতোয়ারা পাখির কলকাকলি, প্রশমিত হৃদয় ভুলিয়ে দেয় জলাঞ্জলি। ধন্য আমি এমনি গাঁয়েতে জন্ম আমার; কাঁটছে কতো প্রহর। মনোহারিতায় অপরূপ রূপে নয়ন জুড়ায়- জমানো শত স্মৃতির বহর। কত রূপে দেখি তোমায়,ভালোবাসি মাটি মায়। ওহে মোর গ্রাম,ওহে ক্ষীর নদী  - প্রণয়ে মজেছি তোমার সন্তানস্নেহে মনে রেখ আমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায়।। ধরার কোথাও পাইনি খুঁজে এমন মাতৃছায়া যত দূরেই যাই না কেন,পিছু ডাকে মেঠো মায়া। বারে বারে সাধ জাগে দেখতে এমন রূপময় মুখ প্রাণের গাঁ, তোমারই মাঝে নিহিত যেন অমৃত সুখ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024