|
Date: 2025-01-06 08:36:35 |
স্বর্ণলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। কোন পাতা নেই, লতাই এর দেহ কাণ্ড মূল সব। লতা হতেই বংশ বিস্তার করে। সোনালী রং এর চিকন লতার মত বলে এইরূপ নামকরণ।
প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে যে কয়েকটি লতা, তাদের অন্যতম হচ্ছে আলোকলতা বা স্বর্ণলতা। পথে-প্রান্তরে এই উদ্ভিদ তার নিজের মত করে সৌন্দর্য ছড়ায়, শুধু সৌন্দর্য নয় এটির রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও।
যশোরের অভয়নগর উপজেলা কামকুল বিলের রাস্তার পাশে দেখা মিলল উপকারী গাছটি। গ্রাম শহরের বসবাসকারী সব বয়সী মানুষ এই উদ্ভিদকে চেনেন। পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যেতো বড়ই গাছের কান্ডে। এর সবুজাভ উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে সকলের নজর কেড়ে নেয়। এই লতিকার বেড়ে ওঠা ও ফুল ফোটার ভরা মৌসুম হচ্ছে পৌষ থেকে চৈত্র মাস বলা চলে এ সময়টি তাদের ভরা যৌবন কাল।কিন্তু বর্তমানে গ্রামগুলোতে খুব কম দেখা যাচ্ছে স্বর্ণলতিকা গাছকে। মাঝেমধ্যে বড়ই গাছে হঠাৎ চোখে পড়ে এ গাছ । তবে সে সংখ্যাও খুব বেশি নয়।
কিন্তু বর্তমানে পাড়াগাঁয়ে পথের পাশে বরই গাছ আর অবহেলা অনাদরে সহজে বেড়ে ওঠে না। যদিও বা কোথাও বেড়ে ওঠে এর মালিক দাঁড়িয়ে যায় এবং পরিকল্পিত ও বেশি ফলনের প্রয়োজনে প্রতি বছরই একটা সময়ে এর ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়। ফলে অবলম্বন হারায় স্বর্ণলতা। সেই গাছে নতুন ডালপালা গজায় কিন্তু স্বর্ণলতা আসে না। যদিও বা আসে তাকে আগাছা হিসেবে উপড়ে ফলা হয়। আর এভাবেই কমে যাচ্ছে স্বর্ণলতা।এর রয়েছে নানাবিধ গুনাগুন -স্বর্ণলতার নির্যাস পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় স্বর্ণলতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসায় একে রক্তদুষ্টিনাশক, পিত্ত ও কফনাশক, বিরেচক, বায়ুনাশক, কৃমিনাশক, খোসপাঁচড়া নিবারণকারী হিসাবে দেখা যায়।
© Deshchitro 2024