◾সজিব হোসেন || ধূমপান হচ্ছে একটি মারাত্মক বদভ্যাস। ধূমপানের প্রধান উপকরণ হলো তামাক। এছাড়াও গাঁজা,আফিম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যাতে রয়েছে নিকোটিন। নিকটিন এক প্রকার বিষ। সমাজে এর প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল বিভিন্ন বয়সের মানুষকে দেখা যায় ধূমপান করতে।
অধিকাংশ ধূমপায়ী পাবলিক প্লেস সহ নানান জায়গায় যত্রতত্র ধূমপান করে চলছে। যা ব্যক্তি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে। ধূমপানের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়। এছাড়াও এটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষের ক্ষতি করে থাকে। অসতর্ক ভাবে আগুন সহ বিড়ি,সিগারেট এর উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে রাখলে অগ্নিকান্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা ও ঘটতে পারে। সিগারেটে প্রায় ৬৯টির বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যারা মানব শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তামাকে নিকোটিন নামে আরেকটি উপাদান আছে যা আসক্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ধূমপান করলে নিকোটিন শারীরিক ও মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি করে।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ব্রংকাইটিস ও বিভিন্ন রকম ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তামাক উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও এটি মাতৃগর্ভে ভ্রুণের ক্ষতি করে থাকে। আমাদের মতো অনুন্নত দেশগুলোতে যে সিগারেট বিক্রয় করা হয় তাতে তামাকজাত উপাদান অনেক বেশি থাকে।
ফলে আমাদের দেশে ধূমপানজনিত ক্ষতি বা রোগসমূহ অনেক বেশি হয়ে থাকে। উক্ত সমস্যা সমাধানে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা সহ বিভিন্ন জায়গায় ধূমপানের কুফলের চিত্র তুলে ধরে সভা সেমিনার করা যেতে পারে। সর্বোপরি এ বিষয়ে সকলের সচেতনতাই উপহার দিতে পারে ধূমপানমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ।
লেখক : সজিব হোসেন
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ
ঢাকা কলেজ