প্রবাস ডেস্ক :


সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের নির্যাতন ও নিগৃহীত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনার কথা গণমাধ্যমে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে যারা কাজ করতে দেশটিতে যান, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র নারী।


সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিশন-২০৩০ আওতায় সৌদি আরবে নানা সংস্কার চলছে। নারী গাড়ি চালাচ্ছেন, নারীরা সঙ্গী ছাড়া চলাসহ নানা সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এবার শ্রম আইনেও পরিবর্তন আনল সৌদি আরব। এর কারণে পুরোনো চাকরিদাতার অনুমতি ছাড়াই অন্য জায়গায় চাকরি করতে পারবেন গৃহকর্মীরা।


সৌদি গ্যাজেট সূত্রে জানা গেছে, শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। সাম্প্রতিক শ্রম বিধিমালায়ও পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তনের মধ্য পুরোনো চাকরিদাতার অনুমতি ছাড়াই অন্য জায়গায় চাকরি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে গৃহকর্মীদের। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন-২০৩০ আওতায় দেশটির নানা খাতে সংস্কারের নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। শ্রম আইনে পরিবর্তনও এর অংশ।


আগের আইনে গৃহকর্মীদের না জানিয়েই মালিকানা পরিবর্তন করা হতো। গৃহকর্মী সেখানে যেতে না চাইলেও উপায় ছিল না। এখন শ্রম আইনের পরিবর্তনের কারণে গৃহকর্মী চাইলেই চাকরিদাতা ব্যক্তি পরিবর্তন করতে পারবেন। চাকরিদাতা গৃহকর্মীর অনুমতি ছাড়া অন্যর কাছে গৃহকর্মীকে বদলি হিসেবে দিতে পারবেন না।


এবার সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় আইনে যে যে পরিবর্তন এনেছে, তার আওতায়, ঠিকমতো বেতন–ভাতা না দিলে বা বিপজ্জনক কাজে নিয়োজিত করলে গৃহকর্মীরা এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করতে পারবেন। এ ছাড়া কর্মীর অনুমতি ছাড়াই চাকরিদাতা যদি তাকে অন্য ব্যক্তির কাজে নিয়োজিত করেন এবং শিক্ষানবিশ সময়ে যদি চাকরির চুক্তি বাতিল করেন, তাহলে কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।


সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের (এইচআরসি) প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় মানব পাচার প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান আওয়াদ আলাওয়াদ গত সোমবার বলেন, ভিশন-২০৩০–এর আওতায় এসব সংস্কার করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সৌদিতে বিদেশি কর্মীদের চাকরি বদল ও চলাচলের স্বাধীনতা আরও বাড়বে। সৌদি আরবের আইনের আওতায় গৃহকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023