|
Date: 2025-02-06 09:17:29 |
শ্যামনগরে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া দরিদ্র জয় কর্মকারের পাশে জেলা উপজেলা প্রশাসন
রনজিৎ বর্মন শ্যামনগরউপজেলা প্রতিনিধি ঃ মেডিকেল কলেজে ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হলেও জয় কর্মকার ও তার পরিবারের কপালে চিন্তার শেষ ছিলনা ভর্তি হওয়াকে ঘিরে। দিন এনে দিন খাওয়া সহায় সম্বলহীন দিনমজুর পিতা-মাতার পক্ষে সম্ভব ছিল না তার ভর্তি ফিস সরবরাহের।
জয় কর্মকার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের অশোক কর্মকার ও সুচিত্রা কর্মকার দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ছোট। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও তার বড় ভাই রাখি কর্মকার কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছে।
পত্রিকায় জয়ের মেডিকেলে ভর্তির অনিশ্চয়তার সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক মেধাবী এ শিক্ষার্থীর পাশে দাড়িয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। বুধবার তিনি সুন্দরবন তীরবর্তী জয়ের হরিনগর গ্রামের বাড়িতে যেয়ে সাহস যুগিয়েছেন অদম্য মেধাবী জয়কে। ভর্তির জন্য নগদে ১৫ হাজার টাকা হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যেকোন প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক পাশে থাকার।
জয়ের মা সুচিত্রা কর্মকার জানান, ইউএনও ম্যাডাম পেপার পড়েই ছুটে আসায় আমরা খুশি’। তবে ছেলের জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করে তিনি জানান সুন্দরবনের নদীতে মাছ শিকারের কাজ থেকে উঠে যেয়ে তার ছেলে দেশের সেরা মেডিকেলে পড়বে। এটা ভেবে নিজেকে খুব ভাল লাগছে।
এসব বিষয়ে ইউএনও মোছাঃ রনী খাতুন জানান, ‘জয়ের মেধা শক্তি ও সফলতা আমাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে’। ‘এই অঞ্চলের মানুষের গর্ব জয় আরও ভাল কিছু করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
এদিকে জয়ের এমন অসহায়ত্মের কথা জানার পর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জয়কে নিজের দপ্তরে ডেকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।
ছবি- শ্যামনগরে গরীব জয় কর্মকারকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান করছেন ইউএনও মোছাঃ রনী খাতুন।
© Deshchitro 2024