ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার শমসের নগর এলাকার ১২৩ ফুট উচ্চতার ওই টাওয়ারটি ভাঙচুর করা হয়। পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগান শোনা যায়। শত শত মানুষের ক্ষোভ আর প্রতিক্রিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাঙচুরের শিকার হয় এই স্থাপনা। এরপরই অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাতের অন্ধকারে লেলিহান শিখায় পুড়তে থাকে টাওয়ারটি। স্থানীয় ওমর ফারুক নামের একজন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার এলাকার শমশের নগরে শুরু হয় ছাত্র জনতার জমায়েত। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। টাওয়ারটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক হুসাইন আহমেদ বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল স্থাপনা এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। এ জন্য তারা শেখ মুজিবের ওই মুরাল গুলি ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছে।’ কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, কালীগঞ্জ বারোবাজার এলাকার শমশের নগরের ১২৩ ফুট উঁচু টাওয়ারটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে কাদের নেতৃত্ব ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো জানতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওই ঘটনা ছাড়া আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024