চাঁদাবাজি হচ্ছে একপ্রকার সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অন্যতম একটি সামাজিক সমস্যা। যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজি করে।কিন্তুু,বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী চাঁদাবাজি করছে।রাজনৈতিক দলগুলো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। অর্থাৎ, মৌখিকভাবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বললেও নৈতিকভাবে সমর্থন থাকে।


আওয়ামীলীগের শাসনামলে তাদের নেতাকর্মীরা বাসট্যান্ড ও মোড়ে- মোড়ে অটোরিক্সা, লেগুনা, ট্রাক ও বাসসহ সকল যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করতো। এছাড়াও মার্কেট, ফুটপাত ও বাজারের সকলধরনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। কেউ চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল কিংবা ভাঙচুর করা হতো। এছাড়াও বাসা-বাড়ি করতে, জমি কিনতে, ব্যবসা করতে, ফুটপাতে দোকান বসাতে, রুটে গাড়ি চালাতে সবক্ষেত্রে মানুষদের চাঁদা দিতে হতো। কেউ চাঁদা না দিতে চাইলে তার উপর হামলা চালানো হতো। বর্তমানে আওয়ামীলীগের স্বৈরাচারী শাসনামলের অবসান হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু হাত বদল হয়েছে।


আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি করতো, সেসব জায়গায় নতুন একটি গ্রুপ অন্য একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এদের উৎপাতে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও চাঁদাবাজদের দমনে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা রাজনিতিক দলগুলোও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। সরকার,প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দল সকলকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা উচিত।


মোঃমাহিন ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান
ঢাকা কলেজ। 
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024