নাটোরের লালপুরে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন মোসারফ হোসেন । ছেলেকে নিয়ে স্বল্প খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় বাবা ছেলে ভিন্ন ধর্মীয় এ ফুল চাষ শুরু করেছেন । তাদের এই ভিন্ন ধর্মীয় উদ্যোগে অনেকেই এখন সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের চাহিদাও বেশি। বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
এখন পদ্মার শুকনো মরুভূমিতে হৃদয় জুড়ানো সূর্যমূখীর সোনালীর সমারোহ। হাজার হাজার সূর্য যেন সকলকে হাত ছানি দিচ্ছে। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া মাহারাজপুর গ্রামে সূর্যমূখীর বাম্পার ফলনে বাবা ছেলের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা বালু মাটিতে এ যেন মরুভূমির মাঝে হলুদের সমাহার। পতিত জমিতে স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে সূর্যমুখী।
এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটে আসছেন পরিবার নিয়ে।