যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্রীধপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর  আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ৫ টি পরিবারে  সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 


ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন এ সরকারের বড় একটি সাফল্য। এর মাঝে লাখো পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। তবে কোন কোন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন অসুবিধার বিষয়টিও  উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। 

সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরূপ আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেকগুলি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৫ টি পরিবারের সুপেয় পানির তীব্র সংকট দিন কাটাচ্ছে পরিবারের লোকজন। 


মোঃ সরফুদ্দিন লস্কর জানান, ঘর পেয়ে আমার খুব খুশি।খুব সন্তুষ্ট হয়ছি, কিন্তু পানির খুব কষ্ট। টিউবওয়েলর জন্য পানি পাচ্ছি নে।  তিনি  আরো বলেন, খাওয়ার কষ্ট। কোন অনুদান পায় নে। এক কেজি চাল পায়নে। শুধু ঘরই যা পায়ছি।


আব্দুল কাদের আলী  মোল্লা বলেন, কোন অনুদান পায় নে, পানিও পাচ্ছি নে, শুধু ঘরই যা পায়ছি। রাস্তাটা হতি চাইলো তাও হয়নি।বর্ষা হলি হাঁটু ভাঙা কাদা।কলে পানি ওঠেনা ৩/৪ মাস। আগে যারা আয়ছে তারা ভ্যান পাইছে, সিলাই মেশিন পাইছে, কলে পানি নেই, আসে অবধি কল ব্যবহারই কত্তি পারিনি। কি করে বসবাস করবো! 


আশ্রয়ণ পল্লীর বাসিন্দা   অন্তরা বেগম জানান, অনুদান পায় নে, পানি পাচ্ছি নে।একটা কল আছে তাও আবার  পানি ওঠে না, একটা মাদ্রাসা হতি চাইলো তাও হয়নি। কবরস্থান হওয়ার কথা সেটাও হয়নি। আমাদের কেউ মারা গেলে কোথায় দাফন হবে ত আমাদের জানা নেই।  পানির অভাবে খুব কষ্টে আছি। যদি  পানির ব্যবস্থা ডা হতো খুবই ভালো হতো। গা গোসল দেওয়া, থালাবাসন মাজার খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বহুদূর থেকে পানি আনতি হয়, তাও আবার পরের বাড়ি। আমরা খুব কষ্টে আছি। 


এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম, আমি খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।


এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি নিজে দুইবার ওখানে গিয়েছি, কেউ আমাকে কিছুইতো জানায়নি, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি নলকূপ যদি নষ্ট হয়ে থাকে আমি ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা করব।







প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024