|
Date: 2025-02-18 13:55:55 |
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের বড় এফ নাইন সুইচ গেট দখল করে জোর পূর্বক মৎস লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি স্বপন বৈদ্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তার কোন প্রতিকার পাইনি বলে অভিযোগ ভুক্তভেূগীর। গত ৬ আগষ্ট থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আটুলিয়া এলাকায় কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা এই কর্মকান্ডে দেখে হতবাগ হয়ে প্রসাশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
ভুক্তভুগী বিভাষ মন্ডল জানান, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে সুইচ গেট খাল নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন তিনি। টেন্ডারের মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত। চলতি বছরের ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ৬ আগষ্ট থেকে আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি স্বপন বৈদ্য ও তার সহযোগী মধু সরকার, সন্তোস মন্ডল, বাবু মন্ডল, যগেশ মন্ডল কয়েক দফায় গেটে জোর পূর্বক জাল টেনে ৬-৭ থেকে লক্ষ লুটপাট করে নেয়। এঘটনার কয়েকদিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলে তার পাল্টা হুমকি দিয়ে শালিশী বৈঠক না মেনেই পুনরায় মাছ মারতে থাকে। বাধ্য হয়ে এ ঘটনার ২৬ দিন আগে তিনি শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এক পর্যায়ে ওই আওয়ামীলীগ নেতা স্বপন বৈদ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা চন্দন রায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৫ দিন সময় নিয়ে আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা করেন। এরপর থেকে বিএনপি নেতার সেল্টারে পুনঃরায় সুইচ গেট দখলের পাঁয়তাড়া চালাচ্ছেন।
আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু জানান, ওপেন টেন্ডারে মাধ্যমে আটুলিয়া এফ নাইন সুইচ গেট পান বিভাষ মন্ডল। এরপর থেকে তিনি সেখানে ভোগদখলে ছিলেন। গেল ৬ আগষ্ট থেকে স্থানীয় বি এনপি ও জামায়াত নেতাদের সাথে নিয়ে স্বপন বৈদ্য বিভাষ মন্ডলের সুইচ গেট দখল করে মাছ লুট করে নেন। এ ঘটনা নিয়ে আমি নিজেও দুপক্ষকে ডেকে ছিলাম তারা আমার কথা শোনেনি।
তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদকে ভুল বুঝিয়ে একটি অবৈধ কমিটি করেন। কমিটির সভপতি এ বি এম ওয়াজেদ সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা। এছাড়া কমিটির সম্পাদক স্বপন বৈদ্য আওয়ামীলীগের দোসর। এঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা আমার নামে আদালতে মিথ্যা ১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আওয়ামী লীগের নেতা স্বপন বৈদ্য বলেন, ওই সুইচ গেটের মালিক এখন আমি বলেই মাছ ধরেছি। এবিষয়ে একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির মোল্যা জানান, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঘটনাস্থলে ১৪৫ ধারা করা আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন জানান, বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি দুটি কমিটি গঠন করেছে। এরপরেও কেউ ওখানে মাছ ধরতে গেলে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেনি।
© Deshchitro 2024