জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ ও সদস্য সাখাওয়াত হোসেন জিকুর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, জোরপূর্বক গণস্বাক্ষর নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে হল ছাড়া ও মামলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।


বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, কমিটি ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এসব কার্যক্রম শুরু করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতারা। গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) ছাত্রদলের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন জিকু বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধরে জোরপূর্বক গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে।


এসময়ে তাঁর বন্ধু তুহিন হোসেন স্বাক্ষর দিতে রাজি না হলে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ হল ছাড়া ও সদস্য জিকু মামলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, ‘গতকাল বন্ধু জিকু আমাকে রাজনীতি সাপোর্ট করার জন্য একটি কাগজে স্বাক্ষর চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি না হলে সে শাকিল ভাইকে বলে৷ এরপর গতকাল ভাই আমাকে বলে 'তুই নাকি রাজনীতি চাস না তাহলে ছাত্রলীগে কীভাবে ছিলি?' তখন আমি বলি, 'আমার পারিবারিক সমস্যার কারণে হলে থাকতে বাধ্য হয়েছি। হলে থাকার জন্য আমাকে ছাত্রলীগে নাম দিতে বাধ্য করেছে। তবে আমি এমন ভুল আর দ্বিতীয়বার করতে চাই না।' তখন বলে, 'ছাত্ররাজনীতি চাস না মানে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগে তোর নাম আছে।'


এছাড়াও বন্ধু জিকু মামলার হুমকি দেয়।' এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শাকিল আহমেদ বলেন, "ওকে সাবধান করেছি, হুমকি না। বলেছি, তুই হলে থাকিস এবং এখনো ছাত্রলীগ কর্মী এটা সবাই জানলে সমস্যার মধ্যে পরবি। আর সে ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে কিভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়?" অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত ও ছাত্রদল সদস্য সাখাওয়াত হোসেন জিকু এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তুহিন হোসেন একই বিভাগের ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী।


উল্লেখ্য, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়৷ এসময় শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবির বলে একটি বিতর্কিত বক্তব্যও দেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল৷
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024