দিনাজপুর চিরিরবন্দরে টয়লেট স্থাপনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচূড় ও তিনজন আহত হয়েছে।এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারী)দিবাগত রাতে চিরিরবন্দর ১০নং পুনট্রি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনাপ্রবাহে জানা যায় ফয়েজ উদ্দিনের সন্তানদের সংগে মোকছেদুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলাম গংদের আবাদি জমির ধার কেটে রাস্তা তৈরি,চলাচলের রাস্তা বন্ধসহ বিভিন্ন কারনে দীর্ঘ ছয় বছর যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।উভয় পক্ষের মধ্যে পুষে রাখা দীর্ঘদিনের তীব্র ক্ষোভ গতকাল টয়লেট বসানোকে কেন্দ্র করে তীব্র আকার ধারণ করে।মোকছেদুল ইসলাম , শহীদুল ইসলাম ও এনতাদুল ইসলামের সন্তান সুমন ইসলাম,সজীব ইসলাম,হাসিনুর ইসলাম,সাঈদ ইসলামসহ কতিপয় ব্যক্তি ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক বাবুর সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রাজনৈতিক ইস্যু টেনে এনে কতিপয় ব্যক্তি এনামুল হক বাবুর বাসায় হামলা চালিয়ে বাড়ির সীমানা বেড়া থেকে শুরু করে ঘড়ের স্মার্ট টিভি,ফ্যানসহ অনেক আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় । সেই সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে মাসুদ রানা,রুবেলসহ এনামুল হকের মেয়ে সিন্থিয়া আক্তার আহত হয়।ঘটনা তীব্র আকার ধারন করলে এনামুল হককে তার পরিবার অন্যত্র পাঠিয়ে দেয় এবং পুলিশকে খবর দেয় ।পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরেও দীর্ঘ সময় এলাকায় বিরাজ করে উত্তেজনা।
আর এনামুলের পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশ্ববর্তী চাচার বাড়িতে।
উল্লেখ্য ঘটনার রাতে মোকছেদুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল।বিয়ের অনুষ্ঠানকে উপেক্ষা করে সংঘর্ষ এবং এনামুলের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচূড়ের বিষয়টি জানতে চাইলে শহীদুল ইসলামের ছেলে হাসিনুর ইসলাম বলেন পনের বছর আগে আমরা ল্যাট্রিন বসিয়েছি।বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নতুন করে স্লাব বসাতে গেলে তারা তাদের জায়গা দাবি করে ল্যাট্রিনের স্লাব বসানোর কাজে এসে বাঁধা দিলে ঝগড়ার সৃষ্টি হয় কিন্তু আমরা তাদের বাড়িতে কোন প্রকার হামলা বা ঘড়ের কোন আসবাবপত্র ভাংচূড় করিনি।বরং তারাই আমাদের উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল ছুড়লে বিয়ের দাওয়াত খেতে আমাদের বাড়িতে আসা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকের গায়ে ইটের আঘাত লাগায় তারা রাগে এই কাজটি করেছে। এছাড়াও তিনি বলেন এনামুল আওয়ামীলীগ করতো সেই সময় স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের উপর অনেক কতৃত্ব চালিয়েছে ।
এনামুল ইসলামের মেয়ে সিন্থিয়া আক্তার ও ভাতিজী ঐশ্বী ইসলাম বলেন আমাদের জায়গায় তারা টয়লেট স্থাপন করছিল ।আমাদের পরিবার এবং পুলিশ বিয়ের পরে বসে সমস্যা সমাধান করতে চাইলেও সব নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সুমন,সজীব,হাসিনুর,রিপন,মোশারফ,হবি,আবু সাইদসহ ৯০থেকে ১০০জন আমাদের বাসায় এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাসুদ রানা ,রুবেলসহ কয়েকজনকে আহত করে, আমাদের ঘড়ের আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায় ।ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও আমরা তাদের কাছ থেকে তেমন কোন সহোযোগিতা পাইনি।উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সহোযোগিতা চাইলেও বলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে সহোযোগিতা নিতে।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ ওয়াদুদ বলেন টয়লেট বসানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পরে।খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয় ।দু তিনদিন পর উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।