|
Date: 2025-03-03 20:16:03 |
২৭টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে সোমবার (৩মার্চ) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাড়ি তুলে নিয়ে হত্যা আবু হানিফ ছোটনের পিতা শহর আলী, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ওবায়দুল্লাহ, ডা: ফিরোজ হোসেন, গুলিবিদ্ধ হওয়া আব্দুল গফর, ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম লাভলুসহ অন্যরা।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী হত্যার নৈপথ্যে ছিলেন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরি মঞ্জুরলে কবির ও ডিসি নাজমুল আহসান। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার আস্থাভাজন পুলিশ সুপার চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। পরে তারে অবসরেও পাঠানো হয়েছে। তবে বহাল তরবিয়াতে আছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। ২০১৩ সালে তিনি সাতক্ষীরার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত আমীর সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেকের বাড়ি বুলড্রোজার দিয়ে ভাঙ্গার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে নাজমুল আহসানের যোগদানের ৫দিন পর ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হন আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তার সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী।
এছাড়া আরও ২৫ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। তার নের্তৃত্বে যৌথবাহিনীর বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাতক্ষীরার নাগরিকদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করে। রাত শুরু হলেই আতঙ্কে বিভিন্ন স্থানে চলে যেত নারীরাও। অবিলম্বে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতিসহ শাস্তির জানান তারা।
© Deshchitro 2024