অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগই সিদ্ধান্ত নেবে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনও ঠিক করে দেবে কে বা কারা নির্বাচন অংশ নেবে।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।


৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান। এখন তার দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আদালত তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।


এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।’


শেখ হাসিনার কঠোর শাসনের শিকার ব্যক্তিরা এখনো ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে, তার শাসনামলে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের জন্য তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।


ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা হয়। এমনকি শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতাকে ন্যায়সংগত বলে উপস্থাপন করছে। এ বিষয়ে বিবিসি ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেন।


ড. ইউনূস বলেন, ‘আদালত আছে, আইন আছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। আপনি কেবল বিবিসির প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বসে থাকলে হবে না, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন এবং দেখুন আইন কীভাবে কাজ করে।’

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024