কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক পাইলটকে গলা কেটে হত্যার ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নাঈম মিয়া (২৪) উপজেলার পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামের এমাদ মিয়ার ছেলে। বুধবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ির সামনে থেকে নাঈমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে তাকে পুলিশ পাহারায় কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালত প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজরা মাছিমপুর শেখ বাড়ির মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ শাহাদাৎ হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে, স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় শাহাদাৎ পুলিশ জানায়। জবানবন্দিতে তার সহযোগী হিসেবে আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করে। জানা যায় , গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ওবায়দুল হক পাইলট প্রতিদিনের মত দোকান বন্ধ করে উপজেলার বাজরা- তারাকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ি কাছাকাছি পশ্চিম তারাকান্দি এলাকায় গেলে কে বা কাহারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের মা মোছঃ আঙ্গুরা বেগম বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতের ঘটনায় কোন প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক পাইলট হত্যার ঘটনাটি একটি ক্ল-লেস ও আলোচিত ঘটনা হিসেবে সামনে চলে আসে। এই অবস্থায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মামলার প্রধান সন্দেহ বাজন আসামি হিসেবে শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেফতার করে। কুলিয়ারচর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মরদেহের নিচে খুনিদের কেউ তার ডান পায়ের একটি জুতা ফেলে যায়। ওই জুতাটিকে কেন্দ্র করেই খুনি চিহ্নিত করার তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাজরা বাসস্ট্যান্ড ও কয়েকটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজগুলো বার বার দেখে পথচারীদের পায়ে ব্যবহৃত জুতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলে যাওয়া জুতার সাদৃশ্য বের করা হয়। একপর্যায়ে ওই জুতা ব্যবহারকারী হিসেবে শাহাদাৎকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত বলে জানিয়েছে।  এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের স্বার্থে খুনের কারণ সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না। এ বিষয় কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, হত্যা মামলাটি সম্পূর্ণ একটি ক্লু-লেস ঘটনা। ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় ও বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা মামলার প্রধান আসামিকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তার দেওয়া তথ্য মতে পরবর্তীতে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024