|
Date: 2025-03-09 18:06:25 |
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি শুধু নামেই রয়েছে । যথাযথ চিকিৎসক না থাকা সেই সাথে রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা সহ দেখা দিয়েছে নানা ধরনের অনিয়ম ও জটিলতা এতে করে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবার মান। এদিকে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়াই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সাব-কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে। খাবারের মেনু অনুযায়ী মাথাপিছু রোগীর প্রতিদিন ১৭৫ টাকার খাবার বরাদ্দ থাকলেও মেনু অনুযায়ী খাবার না দিয়ে দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। অপরদিকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা শুধুমাত্র ২জন এমবিবিএস ডাক্তার জোড়াতালি দিয়েই চলছে কোন রকমের সেবা কার্যক্রম। যেখানে থাকার কথা ১৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার সেখানে মাত্র রয়েছে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার, অফিস সহায়ক ৪জন থাকার কথা কিন্তু সেখানে একজনও নেই, একজন স্টোর কিপার থাকার কথা তিনিও নেই, ক্লিনার থাকার কথা পাঁচজন কিন্তু একজনও নেই, দুইজন আয়া থাকার কথা একজনও নেই, দুইজন বাবুর্চি থাকার কথা একজনও নেই, এমন নেই নেই দিয়েই কোন মত চলছে নন্দীগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এসব নানা অভিযোগের সত্যতা। রোগীদের অভিযোগ, যে খাবারগুলো তাদের তিন বেলা দেওয়া হয় সেই নিম্নমানের খাবার গুলো তারা আর খেতে চায় না। আরো জানা যায় রোগীদের এসব তিন বেলা খাবারের দায়িত্বে থাকা যে সাব-কন্ট্রাক্টর রয়েছে তিনি স্থানীয় হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি তালিকা অনুযায়ী খাবার না দিয়ে তার ইচ্ছামত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করছে । কথা হয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইকবাল মাহমুদ লিটনের সাথে তিনি বলেন, সরকারি তালিকা অনুযায়ী রোগীদের খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। তিনি আরো বলেন, আমি সাব-কন্ট্রাক্টারকে খাবারের মেনু উন্নত করার কথা বলতে গেলে সে নানাভাবে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, সরকারি তালিকা অনুযায়ী খাবার মেনু যেখানে সকালের নাস্তা কলা পাউরুটি ডিম, দুপুর ও রাতে নামমাত্র মাছ মাংস দিলেও দেওয়া হয় নিম্নমানের খাবার। খাবারের নিয়ম অনুযায়ী টাটকা মাছ মাংস ও সবজি দিয়ে খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস দিয়েই চলছে নিত্যদিনে রোগীদের খাবার,ফলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে খাবারের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকটাই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বলতে গেলে ঠিকাদার আমার কোন কথার কর্ণপাত করে না, সে তার নিজের ইচ্ছামতো খাবার দিয়ে থাকে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ওষুধ পত্রের ব্যাপক সংকট রয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে লোকবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। লোকবল বৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখলেও কোন কাজ হচ্ছে না। তিনি আরো জানান বিগত কয়েক মাস যাবত আগে ভারসাম্যহীন নাম ঠিকানা বিহীন একজন রোগীকে নন্দীগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে রোগীটি কে নিয়ে বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম বিপাকে রয়েছে। রোগিটি ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে তার মলমূত্র দিয়ে পুরো শরীর নোংরা হয়ে থাকে ফলে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে বলা হয়েছে এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। বর্তমানে রোগীটিকে নিয়ে আমরা চরম বিপাকে পড়ে আছি।
© Deshchitro 2024