|
Date: 2025-03-12 19:13:11 |
◾আহাম্মদ উল্লাহ || ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠছে রাজধানীর কাপড়ের মার্কেট এবং বড় বড় শপিং মল। রমজান কিংবা ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিবারের মত এবারও মার্কেটে পোশাকের দাম চওড়া। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সমাজ বাস্তবতার যুদ্ধ চলে ন্যায্যদামে পছন্দের পোশাক ক্রয় নিয়ে।
বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আর কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণের স্বীকৃত কোনো পদ্ধতি নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কিংবা পাইকারী ব্যবসায়ী কিংবা খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছে মত নাম নির্ধারণ করেন।ঈদ, পূজা কিংবা অন্যান্য উৎসব কেন্দ্রিক সময়ে এসব অসাধু প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠে অধিক মুনাফা লাভের আশায়। দাম নির্ধারণ পদ্ধতি ও পোশাকের প্রকৃত দাম কত ক্রেতা জানার পরিধির বাইরে থাকায় ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নানা সময়ে অভিযানে বড় বড় শপিং মল এবং কাপড়ের মার্কেটে মিলেছে দাম নিয়ে অনিয়ম। বিদেশি পোশাক কিংবা ব্র্যান্ডের পোশাক বলে অধিক দামে বিক্রি করলেও আমদানি সংক্রান্ত নথিপত্রে গরবড় কিংবা যে দাম ক্রয়ের কথা বলা হতো তাতে থাকতো নানা অসঙ্গতি। তাছাড়াও ডিসকাউন্ট ইস্যুতে দাম বৃদ্ধি করে ছাড় মূল্যয় পুরাতন দামে বিক্রির নানা নমুনা উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
চড়া দামে পোশাক কিনার সামর্থ্য না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ঝুঁকছে ফুটপাতের দিকে। দেখা যাচ্ছে অল্প টাকায় দরদাম করে নিম্নবিত্তদের পোশাক কেনার পরিবর্তে একদামে মধ্যবিত্তরাই কিনছেন ফুটপাতের অধিকাংশ দোকান থেকে। আর ঈদের কেনাকাটা নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্কারের মত পোশাক শিল্পের ন্যায্য দাম নির্ধারণ সংস্কার প্রয়োজন৷ পোশাকের গুণগত মানের সাথে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতরে আনা জরুরি। অন্তর্বতীকালীন সরকারের নিকট আবেদন পোশাক সঠিক নাম নির্ধারণের করে জনসাধারণকে সিন্ডিকেট মুক্ত করার।
• লেখক আহাম্মদ উল্লাহ
শিক্ষার্থী , ঢাকা কলেজ
© Deshchitro 2024