ইউক্রেনকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এমন কারও সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া যাবে না, যারা আকারে বড় এবং যাদের অর্থ বেশি।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে কিয়েভ রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে সুদঝা শহর এবং বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করে নেয়। ইউক্রেনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনায় কিয়েভের অবস্থানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রুশ বাহিনী ওই এলাকার ৮৬ শতাংশ পুনর্দখল করেছে। বাকি ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো বর্তমানে ‘বেষ্টিত’ ও ‘বিচ্ছিন্ন’ অবস্থায় রয়েছে। কতজন ইউক্রেনীয় সেনা ঘেরাও হয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি মস্কো।


গতকাল শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগের এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া এখন বহু ইউক্রেনীয় সেনাকে ঘিরে ফেলেছে, তারা চরম বিপদের মধ্যে আছে। তারা ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের ‘এই যুদ্ধ কখনোই ঘটতে দেওয়া উচিত ছিল না।’


ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘প্রথমত, অর্থ এবং আকারের দিক থেকে বড় কারও সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া উচিত নয়। আমরা তাদের (ইউক্রেনকে) প্রচুর অর্থ দিয়েছি, প্রচুর সরঞ্জাম দিয়েছি। আমরা বিশ্বে সর্বোত্তম সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করি, কিন্তু এত কিছুর পরও...এটা (কুরস্কে ঘেরাও হয়ে যাওয়া) অবিশ্বাস্য।’


ট্রাম্প একাধিকবার রক্তপাত দ্রুত বন্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত মাসে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিয়েছিলেন এই অভিযোগে যে, ইউক্রেনীয় নেতা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন এবং শান্তির জন্য প্রস্তুত নন।


গত সপ্তাহে সৌদি আরবে জেলেনস্কিকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনার পর, কিয়েভ ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গত বৃহস্পতিবার এই পরিকল্পনার বিস্তারিত মস্কোতে পৌঁছে দিয়েছেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024