ইসলামে ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ ঘোড়ার মাংস খাওয়া বৈধ মনে করেন, আবার কিছু চিন্তাবিদ তা মাকরুহ (অপছন্দনীয়) মনে করেন।যারা ঘোড়ার মাংস খাওয়া বৈধ মনে করেন, তাদের যুক্তি:হাদিসে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
হযরতজ বির (রাঃ) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে রাসূল (সাঃ) গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারী ৫৫২০)।আসমা (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (সাঃ)-এর যুগে ঘোড়া জবাই করে মাংস খেয়েছি। (বুখারী ৫৫১৯)।কোরআন ও সুন্নাহে যেসব প্রাণীকে হারাম করা হয়েছে, ঘোড়া তাদের মধ্যে পড়ে না।
যারা ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ মনে করেন, তাদের যুক্তি: ঘোড়া জিহাদের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করলে জিহাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বলেছেন।তবে, বর্তমানে জিহাদে ঘোড়ার ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। তাই অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ এখন ঘোড়ার মাংস খাওয়া বৈধ মনে করেন।
• সারসংক্ষেপ: ইসলামে ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে মতভেদ রয়েছে।কিছু হাদিসে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ মনে করেন।বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ঘোড়ার মাংস খাওয়া বৈধ মনে করেন।