নানা জটিলতায় প্রায় ৭ মাস বন্ধ রাখার পর আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট-জেলেখালী গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ফের শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সকালে নির্মাণাধীন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন পাউবোর খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শাহীদুল আলম, সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, এস ও আব্দুল আলিম, জাইকার কনসালটেন্ট মাইনুল হাসান ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে ৪২ হাজার ৯৫৫ পিস জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর ৪৫০০ ব্যাগ ডাম্পিং করা হলে নদীতে ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ শেষ হবে।
যার মধ্যে ৪ হাজার পিস রেডি আছে। দয়ার ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ, সার্বজনীন বাসন্তী মন্দির প্রাঙ্গণ, সুন্দরবন হ্যাচারি ও মৎস্য সেটের আশেপাশে ব্লক স্তুপ করে রাখা আছে। ব্যাগ ডাম্পিং শেষ হলে ব্লকগুলো নদীতে ডাম্পিং করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রকৌশলী সৈয়দ শাহীদুল আলম জানান, গত ৭ মাসে দেশের চলমান পরিস্থিতির জন্য কাজ শেষ করতে দেরি হয়েছে। আবার যথারীতি কাজ চলবে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রাখবো না। সিডিউল অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।জাইকার কনসালটেন্ট মাইনুল হাসান বলেন, জিও ব্যাগে বালির পরিবর্তে শুকনো মাটি ভরা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে এসেছি। কিন্তু তদন্ত শেষে দেখা গেছে বস্তার বালি এখনও ভিজে। তার ভেতর থেকে শুকনো মাটি কিভাবে দেখানো হলো বুঝলাম না। তাই প্রত্যেকটি ভরা বস্তা আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অন্যান্য সাংবাদিকদের সামনে খুলে পূণরায় চেক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হলেই কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে।
তথ্যানুযায়ী জানাগেছে, ২০২৩ সালে সরকারের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের বি ডব্লিউ ডিবি পার্টের কম্পোনেন্ট ১ এর আওতায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ২১ কোটি ৯২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৫০ টাকা অর্থায়ন করে জাপানি কোম্পানি (জাইকা)।
২০২৩ সালে ১৫ জানুয়ারী থেকে মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন টি এম এল জে ভি এর পক্ষে কাজটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রামের বিসকন লি:। ১২৭০ মিটার বেড়িবাঁধে মাটির কাজ ও ব্লক প্লেসিং, নদীতে ৪০০ মিটার ব্লক ডাম্পিং ও ৪০০ মিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিং, ২৮০০০ পিস (৩৫+৩৫+৩৫) ব্লক দিয়ে ১২৭০ মিটারে গাইড ওয়াল নির্মাণ করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে দয়ার ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, সার্বজনীন বাসন্তী মন্দির, সুন্দরবন হ্যাচারি ও মৎস্য সেটের আশেপাশে ব্লক স্তুপ করে রাখায় স্থানীয়দের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তাই দ্রুত কাজটি শেষ নামাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।