|
Date: 2025-03-23 16:19:22 |
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি থানার কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে ইফতার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার উদ্যোগে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, অন্যান্য সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির অংশীজনরা।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান উপস্থিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস। এই মাসে ন্যায়পরায়ন হতে সাহায্য করে ও বিভিন্ন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়। এই ইফতার আয়োজন মূলত পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈষম্যহীন, মাদকমুক্ত, বহিরাগত মুক্ত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক হবে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, তোমরা পারস্পরিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন সূর্য ছিনিয়ে এনেছো, ঠিক সেইভাবে আগামী দিনেও পারস্পরিক এক হয়ে দৃঢ় ভাবে ক্যাম্পাসে কাজ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকল সংগঠন একসাথে ইফতার করছে এরকম আমার চাকরি জীবনে ইবিতে দেখিনি। তোমরা পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে একটা রুল মডেল হয়ে দাঁড়াবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, যে ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি তাহলে আশার বাণী বাস্তবায়ন করতে সহজ হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটা পয়েন্টে আসা লাগবে, যেটাকে ঐক্য বলি। এই রমজান মাস ধৈর্য ধারণ করার মাস, পরমসহিষ্ণুতার মাস, অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার মাস, সহমর্মিতার মাস, পরস্পরের দুঃখ অনুভব করার মাস, পারস্পরিক সাহায্য করার মাস। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো বরকতময় মাসে আমরা যাতে একই হৃদয়ে মিশে যাই।
© Deshchitro 2024