পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যাত্রী পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যাত্রী পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে নির্বিঘ্ন পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
এ জন্য নৌরুটে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ এবং ৩টি ঘাটের (৩, ৪ ও ৭ নং ) ৮টি পকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে টার্মিনালে কয়েকটি বাড়তি বাস কাউন্টার বসানো হবে। প্রত্যেকটি বাস কাউন্টার ও ঘাটের বিশেষ পয়েন্টগুলোতে বড় ব্যানারে ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি বাস সহ অন্যান্য যানবাহনের ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে। বাসের গায়ে যে রুটে চলাচল করবে তার স্টিকার লাগাতে হবে।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত ফোর্স ও মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষণিক কাজ করবে। চুরি ছিনতাই রোধে পর্যাপ্ত লাইটিং, বিশ্রামাগার ও টয়লেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ২ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সভাকক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সমন্বয় সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওনও) মো. নাহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন পারাপারে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করছি। লঞ্চ,বাস কিংবা অন্য যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে তারা বাস কাউন্টার বন্ধসহ অন্যান্যদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ,
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম শেখ, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ জুয়েল সহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিভিন্ন দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রমূখ।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন | সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান