|
Date: 2025-03-28 14:10:29 |
কক্সবাজারের উখিয়ায় রমজানের শেষপর্যায়ে শপিংমলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা৷ এবার ঈদ বাজারে মেয়ের পছন্দের মধ্যে শীর্ষে পাকিস্তানি থ্রি পিস৷ সেলাই কিংবা সেলাই ছাড়া দুই ধরনের পোশাকেই আগ্রহের তালিকায় আগানূর, রাওয়াত, তায়াক্কালসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি ব্র্যান্ড। আর ছেলেদের কেনাকাটায় পছন্দের তালিকায় পাঞ্জাবি৷
সোমবার (২৪ মার্চ) উখিয়া বাজার, কোটবাজার মরিচ্যা, কুতুপালং, থাইংখালী ও পালংখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়৷
কোটবাজার ক্লাথ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল আজিজ জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি বছর ঈদের কেনাকাটা পাকিস্তানি থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি৷ পাকিস্তানি থ্রি-পিসের মধ্যে রয়েছে কয়েক ধরনের কোয়ালিটি যেমন আগানূর, রাওয়াত, তায়াক্কাল। এগুলোর চাহিদা বেশি মেয়েদের৷
উখিয়া সদরের গার্মেন্টস দোকানদার আলা উদ্দিন জানান, ছেলের টি-শার্ট ও শার্টের তুলনায় মূল আর্কষণ ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি দিকে৷ এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও তরুণদের আগ্রহের কমতি নেই। আমার দোকানে জিন্স, শার্ট ও টি-র্শাটের কাস্টমার গতবারের তুলনায় কম৷
কুতুপালং বাজারে ইমরান নামের এক ক্রেতার জানান, কাজের চাপে এতোদিন ঈদ বাজারে আসিনি৷ আজ বাজারে এসে ২টি পাঞ্জাবি ও পায়জামা নিয়েছি৷ গতবছরের চেয়ে এবার পাঞ্জাবির দাম বেশি, তবে প্রিমিয়াম। তাই একসাথে ২টি নিয়ে নিলাম৷
নারী ক্রেতা আদিবার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গতবছর শাড়ি নিয়েছিলাম কিন্তু এইবছর পাকিস্তানি থ্রি পিসের ভালো কালেকশন আসছে৷ তাই পাকিস্তানি থ্রি পিস কিনেছি৷ দাম একটু বেশি তবে পছন্দ হওয়ায় কিনে নিয়েছি। শুধু আম্মুর জন্য শাড়ি নিয়েছি৷
কোটবাজার বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি খুরশেদ আলম জানান, উপজেলার বৃহত্তর এই বাজার৷ এখানে উখিয়া উপজেলার পাশাপাশি টেকনাফ ও রামু উপজেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন৷ তাঁরা তাদের পছন্দমতো কেনাকাটা করতে পারেন৷ নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের জন্য ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন৷ তাছাড়া থাকা পুলিশ ও সেনাবাহিনী র্যাব নিয়মিত বাজার টহল দিচ্ছেন৷
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেইন জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে৷ এখানে কোনো দুষ্কৃতকারী আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না৷ নির্দ্বিধায় ক্রয় এবং ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করতে পারবেন৷
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে সিসি টিভির আওতায় বাজার গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে৷ তাছাড়া প্রতিটি দোকান সিসি টিভি আছে৷ তাছাড়া গ্রাম পুলিশ, আনসার, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের একাধিক টিম ঈদ বাজারে টহলা দেওয়া হচ্ছে৷
© Deshchitro 2024