শেষ মূহুর্তে ঘর মুখো মানুষের ভীর:দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট



আজ রাত পোহালেই ইসলাম পরিবারের সব থেকে আনন্দের দিন ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে। আজকে দুপুর থেকে বেড়েছে মানুষের চাপ। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায় পাচঁ মিনিট পর পর পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ ছেড়ে সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে আসে। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নেমে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।

এক গার্মেন্টস কর্মী সঙ্গে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট পন্টুনের ওপর থেকে কথা হয়। তিনি বলেন, সে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী লক্ষ্ণীকোল যাচ্ছি। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নিয়ে বাড়ীতে যাচ্ছি। গত শনিবার গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে আজ সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা থেকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। পথে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।


আরেক যাত্রী মোঃহাফিজ জানায়,আমাদের ছুটির পর রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ীর দিকে রওনা হয়েছি। গতকাল শনিবার তার অফিস ছুটি হয়েছে। আজ সকালেই বেড়িয়ে পড়েন বাড়ির উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে লোকাল বাসে পাটুরিয়া ঘাটে এসে লঞ্চে উঠেছি। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই এবার যেতে পারছেন বলে দাবি তার।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম শেখ বলেন, যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয় তার জন্য এই রুটে ছোট বড় ২০ টি লঞ্চ চলাচল করছে।


রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ও লঞ্চ ঘাটে যাতে কোন যাত্রী ও যানবাহন ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ছিনতাইকারী যাতে কোনো যাত্রীদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে না পারে তার জন্য ঈদের আগ থেকে অভিযান চালিয়ে একাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024