অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত


মৌলভীবাজারে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। প্রাণীকুলের নেই স্বস্তি। প্রকৃতির বাতাসে গরম হাওয়া। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। খরা আর তীব্র গরমে নষ্ট হচ্ছে ফসল। গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে রহমতের বৃষ্টির আশায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাতে দোয়া করেছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলেমসমাজ ও স্থানীয় মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন বাঘমারা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি ইমামতি করেন পূর্ব বাঘমারা মসজিদের ইমাম মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন। 

নামাজ শেষে শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেন গাউছিয়া ছোবহানিয়া এরশাদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রার শিক্ষক মাওলানা মো. উসমান আলী।

এ সময়  ৫ শতাধিক মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

নামাজে আরও উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম বাঘমারা মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল আহাদ, বাঘমারা মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজ তুহিন আহমদ, পুর্ব বাঘমারা মুয়াজ্জিন মো. মোশাহিদ আলী।

নামাজে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বিপদের সময় আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। বৃষ্টির জন্য এই নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি।

প্রসঙ্গত, বৃষ্টি প্রার্থনায় সম্মিলিতভাবে আজান, একামত ছাড়াই জামাতের সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ'। ইমাম সাহেব কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে দোয়া-প্রার্থনা করেন। 

বস্তুত পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়। তবেই আল্লাহ তাআলা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024