ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা আশ্রবপুর ও কুমড়া শাসন নামক স্থানে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির পর এলাকাবাসীর রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভের মুখে দুটি স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, এই দুর্ঘটনা প্রবণ স্থানে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপথ বিভাগ দাবীটি পূরণ করছে অনেক জীবনের বিনিময়ের পর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবীটি এতদিন আমলে না নেয়ায় গত ছয়মাসে প্রায় দশজন নিহত হয় এবং চল্লিশ জনের মতো যাত্রী আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। গত ৭ এপ্রিল উপজেলা সদর আশ্রবপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে তন্বী (১৫) প্রাইভেট পড়া শেষে ঈশ^রগঞ্জ থেকে অটোরিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে আশ্রবপুর মসজিদ সংলগ্ন স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে ১০ শ্রেণির ছাত্রী তন্বী নিহত হয় আরো ২ জন গুরুত্বর আহত হন। এঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষুদ্ধ জনতা রাস্তার গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ, ওসি ওবায়দুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে স্পীড ব্রেকার স্থাপনের  আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা অবরোধ তুলে নেন। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ও বিক্ষুদ্ধ জনতার দাবীর মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮ ও ১০ মার্চ আশ্রবপুর ও কুমড়াশাসন নামক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে দুটি স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করে দেন।

স্পীড ব্রেকার নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের। এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ   সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম জানান, মহাসড়কে স্পীড ব্রেকার স্থাপনের কোন নিয়ম নেই। তারপরও প্রশাসন ও এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে দুর্ঘটনা এড়াতে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেটা আরো আগে নেয়া উচিত ছিল। গতি নিয়ন্ত্রণ ও জীবন রক্ষার স্বার্থে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গতিরোধক  নির্মাণ করা হবে।  



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024