|
Date: 2025-04-19 10:45:35 |
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু চড়ানো ও ঘাস খাওয়া নিয়ে ঝগড়ার মীমাংসার জন্য বসা সালিস বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও কমপক্ষে ৭জন আহত হয়েছেন।
(১৭ এপ্রিল)বৃহষ্পতিবার রাতে রামগড় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের তৈচালাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন আবুল কালাম আজাদ(৫৫)। তিনি পেশায় কাঠ মিস্ত্রি ও তৈচালাপাড়ায় শশুরবাড়িতে বসবাস করেন। আহতরা হলেন শাহাদাত হোসেন, তার অপর দুই ভাই মো: শাহীন আলম ও শেফায়েত উল্লাহ, নুরুল আলম আরিফ, তার ভাই আফসার, মা আমেনা বেগম, নুরুল আলম খোকন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, তৈচালাপাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন ও মর্তুজা আলমের সাথে বিরোধপূর্ণ জমিতে গরু চড়ানো নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে বৃহষ্পতিবার রাত ৮টার দিকে তৈচালাপাড়ায় দুই পক্ষের উপস্থিতিতে সামাজিক সালিশ বৈঠক হয়। এতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর মো: রহিমুল্লাহ, সহসভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর রেজাউল করিম ফোরকান, সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পদক রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকের শেষ পর্যায়ে সাবেক কাউন্সিলর রহিমুল্লাহর ছেলে নুরুল আলম আরিফের দেয়া বক্তব্য নিয়ে সাদ্দাম হোসেনের ভাই শেফায়েতের তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতি-মারামারিতে লিপ্ত হন। পরে ঐ দুইপক্ষ তৈচালাপাড়া দোকানের সামনে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ, সাদ্দমের ভাই শাহীন, শাহাদাৎ, শেফায়েত, রহিম উল্লাহর ছেলে আরিফ, আফসার, স্ত্রী আমেনা বেগম ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম খোকন আহত হন। আহতদের রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর আবুল কালাম, শাহাদাতসহ তিনজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে আবুল কালাম মারা যান। চমেকে চিকিৎসাধীন শাহাদাতের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। নিহত আবুল কালামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ মামলা দায়ের করেনি।
© Deshchitro 2024