বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই। ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) পোপের মৃত্যুর খবর জানায় ভ্যাটিকান। 


এর আগে পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্যের অবস্থা সংকটজনক বলে জানানো হয়েছিল। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কিছুক্ষণ আগে কার্ডিনাল ফারেল, দুঃখের সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমাদের পবিত্র পিতা ফ্রান্সিসের মৃত্যু ঘোষণা করছি।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তিনি আমাদেরকে আনুগত্য, সাহস এবং সর্বজনীন প্রেমের সঙ্গে গসপেলের মূল্যবোধের সঙ্গে বাঁচতে শিখিয়েছেন, বিশেষত দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে প্রান্তিকদের পক্ষে।


ফারেল যোগ করেছেন প্রভু যীশুর একজন সত্যিকারের শিষ্য হিসেবে তার উদাহরণের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে, আমরা পোপ ফ্রান্সিসের আত্মাকে এক এবং ত্রিমূর্তি ঈশ্বরের অসীম করুণাময় ভালবাসার জন্য প্রশংসা করি।


এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সিস ছিলেন ৭৪১ সালের পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ। ৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমে আর কোনো নন-ইউরোপিয় পোপ আসেননি। তিনি ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার কখনো বন্ধ করেননি। তারপরও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।


প্রায় ৬০০ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়া প্রথম পোপ ছিলেন ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি ষোড়শ বেঞ্জামিন। প্রায় এক দশক তারা একসঙ্গে ভ্যাটিকান গার্ডেনে ছিলেন। ষোড়শ বেঞ্জামিনের পর যখন ২০১৩ সালে পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস, তখন তার বয়স ছিল সত্তরের কোটায়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024