প্রায় ২০বছর ধরে বাবার লিখে দেওয়া জমিতে বসবাস করে আসছিলেন কুলছুম বেগম (৪৩)। দুই বছর আগে বাবার লিখে দেওয়া জমি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যান তিনি। এই সুযোগে জুয়েলগং জমিটি নিজেদের দাবি করে রোপন করা গাছ কেটে ও ওই জমিতেই যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ করেন কুলছুম বেগম। শুধু জমি দখল নয় কুলছুমকে দা নিয়ে মারার জন্য তেড়ে আসেন জুয়েলগং। প্রাণের ভয়ে ও জমি উদ্ধারের জন্য সোমবার (২১ এপ্রিল) পীরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী কুলছুম বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের পীরগাছায় অনন্তরাম (দশগাঁও) গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া ও একরামুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী কুলছুম বেগমের বসতভিটার তিনশতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার সকালে কুলছুম বেগম ওই গ্রামে না থাকার সুযোগে জমিতে প্রবেশ করে রোপনকৃত গাছ কেটে জমি দখলের পায়তারা করেন অভিযুক্তরা। কুলছুম বেগম এ খবর শুনে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে এসে জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারার জন্য উদ্যত হয়ে ধাক্কাধাক্কি করে।
কুলছুম বেগমের ভাই আব্দুল কাদের বলেন, শুধু জমি দখল নয় প্রায় দেড়শ বছর ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছে জুয়েলগং। ফলে কয়েকটি পরিবারের বাড়ির বাহিরে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
তবে কুলছুম বেগমের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া বলেন, জমিটি আমাদের।
পীরগাছা থানা এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগটা এখনো হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।