গাজী সাহেব ওরফে গাজী শেখ নামে ধর্মপ্রাণ একজন দরবেশ ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুর পর একমাত্র পুত্র গরিবুল্লাহ শেখ তাকে রংপুরের পীরগাছার চন্ডীপুর মৌজার জেএল নং-৭৫, আরএস খতিয়ান নং-২৫ ও ১৬০১, আর এস দাগ নং-৬৫২, জমির পরিমাণ ১২০ শতক এর মধ্যে দাগের দক্ষিণাংশে কবরস্থ করেন। এর কিছুদিন পর তার বিবি গরিবুল্লাহ শেখের মা মৃত্যুবরণ করলে গাজী সাহেবের কবরের উত্তর পাশে সন্নিকটে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে গরিবুল্লাহ শেখ তার পিতামাতার কবরের উপর আলাদা আলাদা স্থানে ছোট বড় দুইটি সৌধ বা দরগাহ নির্মাণ করেন। গাজী সাহেবের মৃত্যুর দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের বৃহস্পতিবার। তখন থেকে বৈশাখ মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার করে গাজী সাহেবের ওরস শরিফ উপলক্ষ্যে ওইদিন করে নাপাইচন্ডীর মেলা হয়। মেল্রাদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন কবর জিয়ারত ও দোয়া খায়েরসহ মান্নতি কার্যকলাপ পূরণ করে থাকেন। যা পরিচালনাসহ সেখানকার শৃঙ্খলা রক্ষা করে আসছেন গাজী সাহেবের পুত্র গরিবুল্লাহ শেখ। পরবর্তীতে গরিবুল্লাহ শেখের মৃত্যুর পর তার একমাত্র পুত্র গমির শেখ উক্ত দরগাহের পরিচালনাসহ মেলা পরিচালনা করেন।
গমির শেখের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ আব্দুল খালেক গং অদ্যবধি পর্যন্ত গাজী সাহেব ও তার বিবির দরগাহে আগত বিভিন্ন এলাকার হিন্দু-মুসলমান নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দ কবর জিয়ারত ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ভক্তিসহ সিন্নি সালাদ প্রদান করেন।
কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রিমহল দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা প্রথা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হীন উদ্দেশ্যে গমির শেখের ওয়ারিশ আব্দুল খালেক গংদেরকে বিতাড়িত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। বিষয়টি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে জানালে তাদের কাছ থেকে কোন ন্যায়সংগত প্রতিকার পাওয়া যায় নাই। 
উল্লেখ্য যে, তফশীল বর্ণিত জমি নিয়ে রংপুর জেলা স্পেশাল জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং আব্দুল খালেক গংদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। যা বলবত রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কুচক্রিমহল ওই জমিতে বারবার অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের পাঁয়তারা করে আসছেন। যা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননার শামিল।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024