জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক সংকট, সেশনজটসহ কয়েকটি সমস্যা সমাধানে ১০ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তারা একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগটির শিক্ষক সংখ্যা সংকটজনক। বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচে প্রয় ১২০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বিভাগে রয়েছেন মাত্র ৩ জন প্রভাষক। নেই কোনো সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক পদে কেউ।
উপাচার্য বারাবর দেওয়া লিখিত দাবিপত্রে শিক্ষার্থীরা তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন-
১. শিক্ষক নিয়োগ: চলমান সংকট নিরসনে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে বিকল্প হিসেবে অভিজ্ঞ গেস্ট টিচার ক্যাম্পাসে সরাসরি উপস্থিত থেকে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. ল্যাব সহকারী নিয়োগ: বিভাগে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চালাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নানাভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই দ্রুত একজন দক্ষ ল্যাব সহকারী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
৩. স্বতন্ত্র কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন: প্রযুক্তিগত চর্চা ও গবেষণার জন্য ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি স্বতন্ত্র কম্পিউটার ল্যাব প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে কোর্স বন্টন ও ল্যাব ক্লাসের রেগুলারিটি ঠিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তারা অভিযোগ করেন, একটি সেমিস্টারের মেশিন ল্যাব কোর্স মাত্র দুইদিনে ৬টি এক্সপেরিমেন্ট করিয়ে শেষ করছে, যা প্রাপ্য শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল-মিনহাজ দৈনিক দেশচিত্রকে বলেন, ‘ল্যাব পরীক্ষা গুলো সিএসই বিভাগের ল্যাবে করতে হয় তাই নির্ধারিত সময়ে তাদের ল্যাব ফাঁকা না থাকায় প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে ল্যাব পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। শিক্ষকের ক্লাস ওভারলোড এবং ল্যাব ঘাটতির কারণে আমরা ঠিকভাবে ক্লাস ও প্র্যাকটিস করতে পারছি না আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৯ এপ্রিল আমাদের চলমান পরীক্ষা শেষ হবে এবং ২০ এপ্রিল থেকে নতুন সেমিস্টার শুরু হবে। তাই তার আগেই সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের জানানো হয়, নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে, তবে ১০ কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।