রংপুরের পীরগাছায় চাচা-মামার হোটেলের পর এবার দেখা মিলল ভাবীর হোটেলের। উপজেলার সৈয়দপুর বাজার সংলগ্ন দুলাল মিয়ার কাঠ ফার্ণিচার দোকানে দেখা মিলল ভাবীর হোটেলের সাইনবোর্ড। দুলাল মিয়া এর আগে কাঠ ফার্ণিচারের ব্যবসা করতেন। সেই ব্যবসা বাদ দিয়ে তিনি এখন ভাবীর হোটেল নামে একটি ভাতের হোটেল দেন। তার এ ভাতের হোটেল দেওয়ার প্রায় দেড় বছর হলো। প্যাকেজ আকারে ভাত বিক্রির ফলে তার ব্যবসা ভাল যাচ্ছে বলে জানান। এ ভাবীর হোটেলে ভাত খেতে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসে। অন্যান্য হোটেলের তুলনায় ভাবীর হোটেলের খাবারের মান অনেক উন্নত ও সুস্বাদু।
রংপুর থেকে ভাত খেতে আসা দুলু মিয়া ও নকিব হোসেন জানান, তারা ভাবীর হোটেলের খাবারের মান ভালো, তাই তারা এ হোটেলে খেতে এসেছেন। ভাবীর হোটেলের অনেক নামডাক শুনেছেন বলেও তারা জানান।
ভাবীর হোটেলের মালিক দুলাল মিয়া বলেন, এক প্যাকেজে আনলিমিটেড ভাত ছাড়াও ডাল, ডিম, গরু, হাঁস, মুরগির গোশত, কয়েক প্রকার ভর্তা, শাকসবজি রয়েছে। ফুল প্যাকেজ ছাড়াও সিঙ্গেল প্যাকেজও ভাত পাওয়া যায় ভাবীর হোটেলে। 
দুলাল মিয়া এবার ভাবীর হোটেলে লাকী কুপন ছেড়েছে। কেউ যদি ১৯৯টায় এক প্যাকেজ ভাত খান। তাকে দেওয়া হবে একটি লাকী কুপন। তা পূরণ করে ফেলতে হবে নির্ধারিত বক্সে। এই কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ এপ্রিলে। পাঁচ ধরনের পুরস্কার রয়েছে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি বাইসাইকেল, তৃতীয় পুরস্কার একটি রাইস কুকার, চতুর্থ পুরস্কার একটি ব্লেনডার, পঞ্চম পুরস্কার একটি প্রেসার কুকার, ষষ্ঠ পুরস্কার প্যান্ট ও শার্ট, বাটন মোবাইল একটি, থ্রি-পিচ এক পিস।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024