অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি চলছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) জুমার পরও অব্যাহত থাকবে।



এই কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে যোগ দিয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে অংশ নিয়েছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। এনসিপি দাবি করছে এটি আর কেবল একটি দলের আন্দোলন নয় এখন এটি একটি বৃহত্তর গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছে।


বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন— এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, শিবিরের দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি।


নেতারা জানিয়েছেন, আজ বাদ জুমা শার্ক ফোয়ারার সামনেও একই দাবিতে জমায়েত হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলগুলো। এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন ও নিপীড়নের শিকার পরিবারগুলো এবং সাম্প্রতিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আহত ও নিহতদের স্বজনরা।


আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দক্ষিণাঞ্চলীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে।’ তিনি ছাত্র-জনতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে আজ বাদ জুমা শার্ক ফোয়ারায় উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান।


এদিকে বিক্ষোভ ঘিরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।


নেতারা জানিয়েছেন, এই অবস্থান কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আরও নেতাকর্মীরা রাজধানীতে যোগ দেবেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024