আবাসন সংকট নিরসনসহ চার দফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো কাকড়াইল মোড়ে অবস্থান করছে জবি শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে অবস্থানের পাশাপাশি গণঅনশনও শুরু করেছেন তারা।

এদিন পূর্বঘোষিত জবিয়ান সমাবেশ ও গনঅনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কাকড়াইল মোড়ে জমায়েত স্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিছিল সহ সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে দেখা যায়। সকাল ১০ টার পর থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে সমাবেশস্থলে যোগ দেন।

সমাবেশস্থলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। জবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহীন আহমেদ খান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মৌলিক দাবি হলো হলের দাবি। আমি ১৩ বার জেল খেটেছি জবির হল আন্দোলনের মামলায়। আমরা ফাঁসির দড়িতে যেতে রাজি কিন্ত আমাদের মৌলিক দাবি মানতে হবে। আমিরা ঝিমিয়ে পড়িনি। এই দাবি আদায় না হলে জবির সাবেকরা বর্তমানদের সঙ্গে কাধ মিলিয়ে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।


সাবেক শিক্ষার্থী ও অ্যাডভোকেট মো. রনি মিয়া বলেন, এক শিক্ষার্থীর অনিচ্ছাকৃতভাবে বোতল আকাশে ছুড়লে দুর্ঘটনাবশত তা গিয়ে লাগে উপদেষ্টার লাগে। এরজন্য হাজারের উপর শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলা বৈধ বলে প্রকাশ করেছেন। হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের উপর সরাসরি টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ এর চেয়ে ১৫ গ্রাম ওজনের একটা বোতল উপদেষ্টাদের বেশি কষ্ট দিয়েছে।


তিনি আরো বলেন, দাবি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপদেষ্টা (শিক্ষা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র) ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে নির্লিপ্ততা এবং দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট মতবাদ লালন না করে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের দাবি মেনে নিন।


আরেক সাবেক শিক্ষার্থী সহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এটা শুধু বর্তমান শিক্ষাদের দাবি নয়, এটা সাবেকদেরও দাবিম এখনো সরকার কোনো বিবৃতই দেয়নিম শিক্ষকদের যেভাবে মেরেছে তাতেও সরকারের টনক নড়েনি। এটা চরম অন্যায়। গণঅভ্যুত্থানের অন্যান্য নেতারা শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে সরকারের দালালি করছে। দাবি আদায় না করে জবিয়ানরা ঘরে ফিরবে না।


শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো_ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে শিক্ষাবৃত্তি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্নাঙ্গ বাজেট কাটছাট না করেই অনুমোদন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024