সাধারণ মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসা পাচ্ছে ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”এই বহুল প্রচলিত গোনগানকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৮ মাসেই তিনি অর্জন করেছেন সাধারণ মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসা। ৫ আগস্টের পর পুলিশের ভেঙ্গে যাওয়া মনোবল শক্ত করে অপরাধ দমনে তার কঠোর অবস্থান এবং মানবিক আচরণ তাকে আজ এলাকার একটি আস্থার প্রতীক করে তুলেছে। অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স : গোয়ালন্দে তার আগমনের পর থেকেই সন্ত্রাস, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জুয়া, ইভটিজিং। যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি ঘোষণা করেছেন যুদ্ধ। এলাকায় অনেক পুরনো অপরাধ চক্রকে ভেঙে দিয়েছেন অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে। তার কৌশলী নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান হয়েছে নিয়মিত, উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ দ্রব্য। একইসঙ্গে জুয়াড়ি চক্র, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও পরিচালিত হয়েছে একের পর এক অভিযান। মানবিক পুলিশিংয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : ওসি রাকিবুল ইসলাম শুধুমাত্র কঠোর হাতে অপরাধ দমন করেই থেমে থাকেননি। তিনি গড়ে তুলেছেন এক মানবিক পুলিশ প্রশাসন। পারিবারিক কলহ, নারীর প্রতি সহিংসতা কিংবা সামাজিক বিরোধ। সব ক্ষেত্রেই তার দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা সাধারণ মানুষকে দিয়েছে ভরসা ও আশ্রয়। বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি চালু করেছেন "নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক"। সেখানে নারীরা নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং পাচ্ছেন আইনি সহায়তা। জনগণের সেবক হয়ে কাজ : ওসি রাকিবুল নিয়মিত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। তিনি থানার গন্ডি পেরিয়ে ছুটে যান মানুষের বাড়িতে, বাজারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কখনো মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের সময় সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলেন, কখনো স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অপরাধ ও মাদক বিরোধী সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করেন। জনতার কণ্ঠে ওসি রাকিবুল : স্থানীয় একাধিক সেবা প্রার্থী বলেন, “আগে আমরা পুলিশ মানেই ভয় পেতাম। এখন দেখি, পুলিশ আমাদের পাশে। আমাদের কথা শোনে, সমাধান দেয়।” একাধিক স্কুলছাত্রী বলেন, “রাস্তায় এখন অনেক নিরাপদ মনে হয়। ইভটিজারদের আর দেখা মেলে না। আমাদের স্কুলে উপস্থিত হয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ইভটিজিং, মাদক বিরোধী পরামর্শ দেয়। এতে আমরা উৎসাহ পাই। আশাকরি আজকের আলোচনা আমাদের জীবনের মোড় ঘুরে দিবে। ইতিবাচক পরিবর্তনের রূপকার : ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়ালন্দ এখন অনেক বেশি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং বাসযোগ্য একটি উপজেলা। তার অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্ব, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিঃসন্দেহে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন পুলিশ আর জনগণের মধ্যে কোন দেয়াল নেই, বরং এই সম্পর্কটা পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার। “অপরাধীদের জন্য তিনি আতঙ্ক, আর সাধারণ মানুষের জন্য তিনি আশার আলো। এমন পুলিশ কর্মকর্তার প্রয়োজন গোটা বাংলাদেশে।” সাধারণ মানুষের ভরসা, অপরাধীদের আতঙ্ক : সুশৃঙ্খল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ওসি রাকিবুল ইসলাম অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছেন অদম্য প্রতিরোধ। আট মাসে তার অধীনে থানায় রুজু হওয়া ১০৫টি মাদক মামলায় ১১৮ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২৬০ গ্রাম হেরোইন, ১,৪২৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ কেজি ১০ গ্রাম গাঁজা, ৩৩৫ বোতল ফেনসিডিল, ৯৭.৭৫ লিটার দেশি-বিদেশি মদ। অস্ত্র, ডাকাতি ও খুন : দৃঢ় পদক্ষেপ অপরাধীদের কাছে আর নিরাপদ নয় গোয়ালন্দ। ৫টি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ৭জন, উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, বিদেশি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলি। ৩টি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জন, উদ্ধার হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, চাপাতি, সুইচ গিয়ার চাকু এবং একটি ছোট পিকআপ ভ্যান। ৭টি খুন মামলায় গ্রেপ্তার ২৩ জন। মোবাইল কোর্টে দন্ডিত ৩০ জন আসামি। গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন,"গোয়ালন্দ ঘাট থানা এলাকাকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও অপরাধমুক্ত রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। মাদক, ইভটিজিং, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা নিয়মিতভাবে চৌকস পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি এবং ইতোমধ্যে অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ এলাকায় যেন কোন অপরাধী মাথা তুলতে না পারে, সে বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা সর্বদা তৎপর রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, জনগণের সহযোগিতা ছাড়া সমাজে টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমি এলাকাবাসীকে অনুরোধ করবো কোনো ধরনের অপরাধ বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের অবহিত করুন। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশ এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা এলাকা হবে অপরাধমুক্ত, নিরাপদ এবং বাসযোগ্য একটি জনপদ।"
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024