কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার বসত ঘর ঘেঁষে গভীর গর্ত খননের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। চলমান অতি বৃষ্টির কারনে বসতভিটা ওই গর্তে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার বুধবার (২১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার মৌজা মধুপুর কাইতপাড়া এলাকায়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মৌজা মধুপুর কাইতপাড়া এলাকার আলসিয়া শেখের দুই ছেলে আব্দুর রহমান কাচুয়া (৫৮) ও আবু বক্কর (৬০) এর মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পরবর্তীতে আবু বক্কর ও তার ছেলে ফুল মিয়া জোর পূর্বক কাচুয়ার বাড়ি সংলগ্ন ১৬ শতক জমি দখল করে নেয়। এরপর কাচুয়া জমি দখলের বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা একাধিকবার আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে আবু বক্কর ও তার ছেলে ফুল মিয়া ভেকু দিয়ে কাচুয়ার বসত ঘর ঘেঁষে গভীর করে গর্ত খনন করে। ফলে চলমান কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাচুয়ার বাড়ি-ঘর গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় আব্দুর রহমান কাচুয়ার সাথে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার তিনজন মেয়ে সন্তান থাকায় আমার ভাই ও ভাতিজা আমাদের উপর জুলুম চালাচ্ছে। আমার ভাই ও ভাতিজা আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য এ ধরনের অমানবিক কাজ করেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক মাস পূর্বে তারা আমাকে জোর পূর্বক মাইক্রোতে নিয়ে অপহরন করেন এবং অবস্থা বেগতিক দেখে অচেতন অবস্থায় সড়কে ফেলে রেখে যান। বর্তমানে কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে আমার বসতভিটা গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। তাই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভাতিজা ফুল মিয়া ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে জানান, সেখানে আমার বসতভিটা ছিল। জমি চাষের জন্য ঘর বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে সেখানে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। জমি দখলের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, দুই দিনের প্রশিক্ষনে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। ফিরে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024