‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা একযোগে এই ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সরাসরি আঘাত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

‎বিবৃতিতে তারা জানান, দেশের কিছু স্বনামধন্য  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট ও মন্তব্য ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু ধর্মীয় অবমাননা নয়, বরং দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিরুদ্ধেও এক ধরণের অপপ্রয়াস।

‎তারা দাবি করেন, এ ধরনের ঘৃণ্য কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানকে আরও কার্যকর ও কঠোর করার মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাষ্ট্রকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, যদি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা শিক্ষার্থী এই ধরনের অবমাননায় লিপ্ত থাকে এবং প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন। তারা স্পষ্ট হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে কোনো ধরণের প্রশাসনিক অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না। অপরাধীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা, ছাড়পত্র বাতিলসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন।

‎বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় সদা প্রস্তুত। সংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কঠোর আইন প্রণয়নই এখন সময়ের দাবি।শান্তিপূর্ণ ও সভ্য প্রতিবাদের মাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দরুদ প্রেরণ করেন। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ তাদের ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024