
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মৎসজীবি সমবায় সমিতির পুকুর সাব লীজ নিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ ও পুকুর বেদখলের অভিযোগ উঠেছে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মৎস্য চাষী ও নারী উদ্যোক্তা সংবাদ সম্মেলন করেন।
১৭ (জুন) মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মৎস্য চাষী ও নারী উদ্যোক্তা নাছিমা খাতুন ।
ক্ষেতলাল পৌরসভার রামপুরা রাণীপুকুর মহল্লার ভুক্তভোগী শারফুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা খাতুন একজন নারী উদ্যোক্তা ও মৎস্যচাষী। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি মামুদপুর ইউনিয়নের কণিয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে লীজকৃত ওই মৌজার সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত একটি পুকুর সাব লীজ নিয়ে কয়েক বছর যাবৎ আমি ও আমার স্বামী মাছ চাষ করে আসছিলাম। আমাদের সাব-লীজের মেয়াদ শেষ। এবছর নতুন ডাকে পুকুরটি ওই সমিতির নামে আবার লীগ পায়। পূর্বের ন্যায় ওই সভাপতি শাহাজান আলী ও সম্পাদক আসলাম হোসেনের সাথে নতুন মেয়াদে এক লাখ টাকায় পুকুরটি আবার সাব-লীজ নিয়ে সমুদয় টাকা আমি ও আমার স্বামী পরিশোধ করি।
এর কিছুদিন পর আমাদের কাছ থেকে আরও ৬০ হাজার টাকার দাবি করে শাহাজান ও আসলাম। ওই সময় পুকুরে আমাদের লক্ষাধিক টাকার মাছ থাকায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ওই টাকা পরিশোধ করি। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে আরও টাকার দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না পারায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে আমার মাছ উঠিয়ে নেয়। পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকেও আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন অসুবিধার পাইনি। বাধ্য হয়ে আমি সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছি আমি এর সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।
এবিষয়ে সমিতির সভাপতি শাহাজান আলী বলেন, পুকুরের এই ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য এই দম্পতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।