◾ মুফতি আবু দারদা 


আল্লাহর দরবারে ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো ইবাদত সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে যেভাবে বলেছেন এবং মহানবী (সা.) যেভাবে ইবাদত করতে বলেছেন এবং করে দেখিয়েছেন বা সম্মতি দিয়েছেন, সেভাবেই ইবাদত করতে হবে।


মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন ও তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। বস্তুত আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩১) 


হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল, যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি ও মুসলিম) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর রাসুল তোমাদের যা দেন, তা গ্রহণ করো এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও।’ (সুরা হাশর: ৭) 


মহানবী (সা.) কোরআন-সুন্নাহর পথ আঁকড়ে ধরার জোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নত অনুসরণ করবে ও তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধরবে। আর তা মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! (ধর্মে) নব-আবিষ্কার থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ ধর্মীয় বিষয়ে প্রতিটি নব-আবিষ্কার বেদাত এবং প্রতিটি বেদাতই ভ্রষ্টতা। (আবু দাউদ) 

রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের বিপরীত ইবাদত করলে পরিণতি হবে জাহান্নাম। তিনি বলেন, (দ্বিনের মধ্যে) প্রত্যেক নব-আবিষ্কৃত বিষয়ই নিকৃষ্ট। আর প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বেদাত এবং প্রত্যেক বেদাতই ভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম হলো জাহান্নাম। (নাসায়ি)


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024