কালেগর্ভে   বিলীন হয়ে গেল আরও একটি বছর ,   ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করতেই  ভালো মন্দ কিছু স্মৃতি মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে গেলো ২০২২ সাল। শুরু হলো এক নতুন কাউন্টডাউন।  সারা বিশ্বমতো বাংলাদেশেও  নতুন স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে ২০২২ সালকে বিদায় জানিয়ে ইংরেজী নতুন বর্ষের হাতছানি বাঙালীর ঘরে ঘরে। আগামীকাল নতুন বর্ষ ২০২৩-কে বরণ করতে প্রস্তুত সবাই। আজ ২০২২ সালের শেষ দিন। প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রামসহ সারাদেশে খ্রিস্টীয় বছর শেষের রাতকে উপভোগ করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবগুলোতে এ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তারকাখচিত হোটেলগুলোর পাশাপাশি ছোট পরিসরেও আয়োজন করা হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের। হোটেল, রেস্তরাঁয় রকমারি খাবার-দাবারেরও আয়োজন রয়েছে। এবারও বর্ষ বিদায়ের রাতটিকে উদ্যাপন করতে নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। নতুনবর্ষ উদযাপনে আরোপ করেছে কিছু শর্ত। নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে পুলিশ-র‌্যাবের সর্বক্ষণিক টহল। পাশাপাশি রয়েছে নিয়মিত বাহিনীও। 

 বিদায় বছরে পাওয়া না-পাওয়ার হিসাব চুকিয়ে নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা নিয়ে এসেছে ২০২৩। নতুন বছর মানেই নতুন উদ্দীপনা, নতুন প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলা। পেছনে ফেলে আসা বছরের ভুল, হতাশা, দুঃখ, গ্লানিকে দূরে ঠেলে নতুন উদ্যমে সাহস নিয়ে পথচলা। দেশজুড়ে শীতের মাঝে উত্তাপ নিয়ে এসেছে ইংরেজি নতুন বছর।

সভ্যতার ইতিহাস বলে, অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার এই স্পৃহা মানুষকে নিয়ে এসেছে এতদূর। তাই নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো বাঙালিরাও।

শিক্ষাঙ্গন, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা দেশের সব মানুষের। গত বছর যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল তার অনেকখানি হয়তো পূরণ হয়নি। কিন্তু তাতে কি? নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে গেলে সাফল্য ধরা দেবেই।

বিদায় বছর রাশিয়া  - ইয়ুক্রেনের যুদ্ধের ফলে তেলের দাম বৃদ্ধি , দ্রব্য মূল্য  উর্ধগতি দেশজুড়ে  আলোচিত-সমালোচিত ছিল। পাশাপাশি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো প্রকল্প চালু হওয়াসহ নানা কারণে ২০২৩ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর।
করোনা  মহামারি ও ডেঙ্গুর   ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক। রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগ, ধর্মীয় সম্প্রীতি-সহিংসতা, আন্তর্জাতিক শুভ-মন্দ দৃষ্টি বারবার হোঁচট খেলেও আবারও উঠে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সর্বশেষেও বলতে হয় -

ধুয়ে মুছে যাক যত
ক্লান্তি-গ্লানি-বেদনা,
নতুন বছর আসছে আবার
জানাই শুভকামনা।

নতুন বছর বয়ে আনুক
সফলতা আর সুখ,
বছর শেষে গর্বে যেন
ভরে উঠে বুক।

সব আশা-স্নেহ-ভালোবাসা স্মৃতি হয়ে থাকুক। আগামী আসুক পুষ্পশোভিত হয়ে। প্রজ্বলিত সূর্যের আলোকচ্ছটায় আলোকিত হোক বিশ্ব। বিশ্বের যাবতীয় মানুষের কল্যাণ হোক। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাক।
নতুন বছরে অগ্রগতির পথে সব জটিলতা দূর হবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
বিদায় ২০২২ ; স্বাগত ২০২৩



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024