প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ ও ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট এর বর্ণাঢ্য নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস। লাল গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করা হয় প্রায় ছয়শত পঞ্চাশ জন নবীন শিক্ষার্থীকে। কেউ ছিলেন ইউনিফর্মে, কেউবা সাধারণ পোশাকে। হাসি-আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে চারদিক।

স্বাগত বক্তব্যে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজের অধ্যক্ষ মু. নুরুল আমিন বলেন, “প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের চোখে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. কাজী নুর-উল ফেরদৌস। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কেবল পজিটিভ শিক্ষার্থীরাই সমাজে নেতৃত্ব দেবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য নয়, বরং সুন্দর জীবন গড়ার জন্য।”

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কমার্স কলেজের প্রফেসর এবং প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের সেক্রেটারি
 কাজী সায়মা বিনতে ফারুকী বলেন, “আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই সুশিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই দেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাবে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব শুধু শিক্ষকদের নয়, পরিবার ও সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। নবীন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে আমরা সবসময় পাশে আছি।”

সহকারী অধ্যাপক ও প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয় ও কলেজ একে অপরের পরিপূরক। শিক্ষার প্রতিটি ধাপে নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীরা যেন সর্বদা শৃঙ্খলা মেনে চলে, তবেই তারা জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।”

প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার কাজী রাসেল বলেন, “প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে কর্মমুখী করে তুলতে হবে। এ শিক্ষাই আগামী দিনে তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে।”

কাজী হাসানুজ্জামান ও অজি উল্লাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মো. ফারুক হোসাইন  বলেন, “ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষাই পূর্ণতা পায় না। তাই শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নৈতিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হতে হবে।”

কেএফএসসি শিশু কাননের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম টিপু বলেন, “শিক্ষার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। তাই নবীন শিক্ষার্থীদের শৈশব থেকে শৃঙ্খলা, সততা ও দায়িত্ববোধে গড়ে তুলতে হবে।”

আলোচনা পর্ব শেষে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024